• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাবে: সিইসি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:০১ পিএম
বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাবে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল

ডেস্ক রিপোর্টার:  যদি মূল বিরোধীদল নির্বাচনে না আসে, তাহলে নির্বাচন স্বচ্ছ বা অস্বচ্ছ হোক, সেটার কিন্তু গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সোমবার (১৩ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

সিইসি বলেন, একটা কথা বারবার বলেছি, নির্বাচনটা হওয়া দরকার অংশগ্রহণমূলক। যেভাবেই হোক যদি মূল বিরোধীদল নির্বাচনে না আসে, তাহলে নির্বাচন স্বচ্ছ বা অস্বচ্ছ হোক, সেটার কিন্তু গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক কমে যাবে। কারণ ডেমোক্রেসির মূল কথাই হচ্ছে পজিশন এবং অপজিশন। আমরা চাই নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হোক।

নির্বাচনী বিধি মোতাবেক নির্বাচনকালীন সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহযোগিতা করতে বাধ্য উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের সঙ্গে বর্তমান সরকারের ধরন পাল্টে যাবে। তখন সরকার শুধু পলিসি নিয়ে কাজ করবে। বিশ্বের সব দেশেই এটা আছে। নির্বাচনী কাজে সরকার আমাদের সহায়তা দেবে। আইন অনুযায়ী এটা দিতে সরকার বাধ্য। সব নির্বাচনে আমরা সরকারের সহায়তা চাইব। সরকারও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে আশা করি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের কাছ থেকে মূলত তিনটি মন্ত্রণালয়ের সহায়তা প্রয়োজন। অন্য কোনো মন্ত্রণালয় নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ করে, পুলিশ প্রশাসন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আর সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে। সরকারের এ তিনটি মন্ত্রণালয় নির্বাচনকালীন ইসিকে সহযোগিতা দেবে।

টিআইবির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উনাদের বলেছি, আপনারা সরাসরি রাজনীতি না করলেও রাজনীতির ঊর্ধ্বে আপনাদের একটা অবস্থান আছে। প্রতিদিনের আক্রমণাত্মক মন্তব্যগুলো থেকে সরে এসে টেবিলে মুখোমুখি বসলে আলোচনা হবে গঠনমূলক। টেবিলের বাইরে গিয়ে ধারাবাহিকভাবে আক্রমণাত্মক বক্তব্য পারস্পরিক বিরুদ্ধাচারণই বাড়াবে। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমবে না। আমরা এ ধরনের দূরত্ব ঘোচাতে চাই।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image