
নিউজ ডেস্ক : নড়াইলের কৃতী সন্তান বিশ্বনন্দিত চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় পালিত হয়েছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) দিনটি উপলক্ষে নড়াইলে বরাবরের মতো নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়।
অন্যান্য বছর এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনটি পালিত হলেও এ বছর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বড় পরিসরে দিনটি পালনের উদ্যোগ নেয়। সোমবার সকালে শহরের মাছিমদিয়া এলাকায় সুলতান কমপ্লেক্সে শিল্পীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, নড়াইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাশ্বতী শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রিয়াজুল ইসলাম, জেলা কালচারাল অফিসার হায়দার আলীসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, শিল্পী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এ সময় শিল্পীর সমাধি ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। পরে শিল্পীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। প্রার্থনাপর্ব শেষে ছিল বাউল শিল্পীদের গান পরিবেশনা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বাউল শিল্পী দল এতে অংশ নেয়। এ ছাড়াও দিনের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল শিশুদের নৌভ্রমণে চিত্রাঙ্কন, চিত্র প্রদর্শনী, বাউল গান পরিবেশনা।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, কালজয়ী চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান তার ব্যতিক্রমী চিত্রকর্মে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত করেছেন। শিল্পীর নানা স্বপ্ন, চেতনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বছর শিল্পীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মানবতাবাদী, প্রগতিশীল, মুক্তচেতনার, অনুপম শিল্প ব্যক্তিত্ব এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কালজয়ী এই শিল্পী দুরারোগ্য নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: