
নিউজ ডেস্ক: কার অধীনে হবে নির্বাচন- এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লড়াইয়ের মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’ তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘সেই সরকার নির্বাচিত হতে হবে। যে সরকার নিজেই ফলাফল ঘোষণা করতে পারে, তাকে নির্বাচিত সরকার বলা যায় না।’
জাপার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। তার দাবি, ১৯৮২ সালে এরশাদ ক্ষমতা দখল করেননি। রাষ্ট্রপতি আহ্বানে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। এরশাদ জনকল্যাণে কাজ করেছেন- যুক্তি দিয়ে তাঁর ক্ষমতাগ্রহণকে বৈধ দাবি করেন জাপা চেয়ারম্যান।
জি এম কাদের বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে বলেছিলেন চিরস্থায়ীভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই। এখন সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকারের অধীনে নির্বাচন চান। সরকার যদি নির্বাচন কমিশনসহ সব কিছু প্রভাবিত করতে পারে, তাকে সমর্থন করা যায় না।
পুলিশ ও প্রশাসনের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, কিছু কর্মকর্তা আগ বাড়িয়ে বলেন- আমরা আওয়ামী পরিবার। ছাত্রলীগ-যুবলীগ করেছি। তারা আওয়ামী লীগের সভায় যায়, স্লোগান দেয়, আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলে। এরা বেনামে আওয়ামী লীগ।
সরকার ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি করলেও জাপা চেয়ারম্যান বলেন, লুটপাটের জন্য মেগা প্রকল্প করা হচ্ছে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, গুলশান-বনানী-বারিধারার পয়োঃবর্জ্য পরিশোধনে দাশেরকান্দিতে শোধনাগার করা হয়েছেন তিন হাজার ৭০০ টাকায়। ৮০ ভাগই চীনের ঋণ। শোধনাগার চালাতে বছরে ২২৫ কোটি টাকা খরচ হবে। ২০২৯ সাল থেকে চীনকে ঋণের কিস্তি দিতে হবে ২০০ কোটি টাকার বেশি। অথচ বর্জ্য আনার লাইন এখনো তৈরি হয়নি। লাইন তৈরি করতে শোধনাগারের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাবে।
আলোচনা সভায় জাপার সিনিয়ার কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: