• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

শিক্ষকের প্রশ্নোত্তর লিখে দেয়ার অভিযোগে গৌরীপুরের ৫ জনকে অব্যাহতি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৮ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:০৪ পিএম
গৌরীপুরের ৫ জনকে অব্যাহতি
শিক্ষকের প্রশ্নোত্তর লিখে দেয়ার অভিযোগ

শফিকুল ইসলাম মিন্টু, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের গৌরীপুরে এক বহিরাগত শিক্ষক দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকে শিক্ষার্থীদের খাতায় লিখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের খাতায় লিখে দেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং দুইজনকে মৌখিকভাবে অব্যহতি এবং পরীক্ষা কেন্দ্র সমূহের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতিনিধিকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে রবিবার গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।

গত ২মে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষায় গৌরীপুর উপজেলা সদরের ইসলামাবাদ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন কিল্লা বোকাইনগর ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক আব্দুস ছাবুর। ওই সময় পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করছিলেন ইসলামাবাদ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার আইসিটির সহকারী শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া ও রাইশিমুল দারুসসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইবনুল হাসান।

অব্যহতিপ্রাপ্তরা হলেন কেন্দ্র সচিব ইসলামাবাদ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. রুকুন উদ্দিন, হল সুপার শাহগঞ্জ মনির উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার একেএম আব্দুল্লাহ। মৌখিকভাবে অব্যহতিপ্রাপ্ত কক্ষ পরিদর্শক ইসলামাবাদ আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া ও রাইশিমুল দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইবনুল হাসান। পরীক্ষা কেন্দ্র সমূহের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতিনিধি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী জান্নাত খানকে অন্য কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ২মে ইসলামাবাদ আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে কিল্লাবোকাইনগর ফাজিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক আব্দুস ছাবুর কেন্দ্রের ৬নং কক্ষে ভিতরে প্রবেশ করেন। ওই কক্ষে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের খাতায় স্বহস্তে প্রশ্নের উত্তর লিখে দেন। আব্দুস ছাবুরের নিজের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছিল হলটিতে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি ছবি বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় পরীক্ষায় পরিদর্শকের দায়িত্বে না থেকেও কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের অনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতে পরীক্ষার হলে ঢুকে পড়েন।

বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে কেন্দ্রের হল সুপার শাহগঞ্জ মনির উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার এ কে এম আবদুল্লাহ ও কেন্দ্র সচিব ইসলামাবাদ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রুকুন উদ্দিনকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহারকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে।

অভিযুক্ত প্রভাষক মো. আব্দুস সাবুর জানান, আমি ওইদিন পরীক্ষার ডিউটিতে ছিলাম না। তবে মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর বৃত্ত ভরাট ঠিকমতো করছে কিনা শুধু তা দেখেছি। পরীক্ষার খাতায় লিখে দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা।

কেন্দ্রের হল সুপার শাহগঞ্জ মনির উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার একেএম আব্দুল্লাহ জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিউটিরত ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেখিনি। ইউএওন স্যার কেন অব্যাহতি দিয়েছেন তাও জানি না।

অব্যহতিপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিব ইসলামাবাদ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. রুকুন উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অব্যহতির আদেশ দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ দেননি। তবে কেন্দ্র সচিব ও হল সুপার ঘটনা স্বীকার করেছেন। তাদের অব্যহতি দেয়া হয়েছে এবং তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image