
বখতিয়ার রহমান,পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: গায়োত যখন জোড় আছলো কাম করি খাছনো, এলা পারিনা। খাওয়া তো নাগবে, তাই ভিক্ষা করি । এ কথা গুলো রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ৯ নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের বৃদ্ধ আঃ ফাত্তাহ মিয়ার (৭০)।
গত শুক্রবার গুর্জিপাড়া গ্রামের বিভিন্ন বাড়ীতে ভিক্ষা করছিলেন ফাত্তাহ । এক দিকে বৃদ্ধ অপর দিকে অনেকটাই রোগাক্রান্ত । একটা লাঠির সহায়তায় ভিক্ষার ঝুলি হাতে বিভিন্ন বাড়ীর উঠানে ছিল তার পদচারনা । সেখানেই এক পর্যায়ে কথা হয় তার সঙ্গে । তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দরিদ্র পরিবার। সংসার জীবনে ২ সন্তানের জনক। পুত্র হাফিজার রহমান বিয়ে করে শশুর বাড়ীতেই বসবাস করে। কন্যা জয়নব স্বামীর বাড়ীতে। বৃদ্ধ ফাত্তাহ তার বৃদ্ধা স্ত্রী রহিমাকে নিয়ে ক্ষুদ্র পরিসরের নিজ বাড়ীতেই বসবাস করেন । যখন উভয়ের শরীরে শক্তি ছিল শ্রম বিক্রি করে কোন রকমে সংসার চালাত ।
এখন শরীরে শক্তি নেই । কিন্ত বেঁচে থাকার প্রয়োজনে তাদের খাবারের প্রয়োজন । কিন্তু কে দেবে ? তাই প্রতিদিন সকাল হলে নিজ বাড়ীতে সামান্য কিছু খেয়ে উভয়েই পৃথক পৃথক ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে বের হন ভিন্ন দিকে । উভয়েই বাড়ী ফিরেন সন্ধার পুর্বে । প্রতিদিনের ভিক্ষা থেকে যে সাম্যতম আয় হয় । তা দিয়েই কোন রকমে জোটে রাতের ও সকালের খাবার ।
এ ভাবেই চলছে তাদের জীবন । কোন দিন অসুস্থতার কারনে বের হতে না পারলে খাবার জোটে না । অনেটাই অনাহার কিংবা অর্ধাহারে থাকতে হয় ।
বৃদ্ধ ফাত্তাহ কিংবা তার স্ত্রীর জন্য এখন জোটেনি বয়স্ক ভাতা , খাদ্যবান্ধব কর্মসুচী কিংবা ভিজিডি সহায়তা । বৃদ্ধ ফাত্তাহ চেয়ারম্যান ও ইউপির সদস্যের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করলে তারারা শুধু আশ্বাসই দেন ।
বাস্তবে মিলেনি কোন সহায়তা । তারা জানেন না, আরও কতদিন তাদেরকে এ কষ্টকর জীবন কাটাতে হবে ?
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: