• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নূপুর শর্মার জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ০১ জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৫০ পিএম
অহংকারী চরিত্রকে’ দেখিয়েছে
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

নিউজ ডেস্ক:  বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের জন্য বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত নূপুর শর্মার জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ মন্তব্য করেন। খবর  এনডিটিভির।

মহানবী (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের ঘটনার জেরে নূপুরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এদিন মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, গোটা দেশের কাছে ওই মন্তব্যের জন্য নূপুরের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।

আদালত এও বলেছেন, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য দেশে যা ঘটেছে তার জন্য একা নূপুর শর্মাই দায়ী। একটি টেলিভিশন বিতর্কে মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কুরুচিকর কথা বলেন বিজেপির সাবেক সর্বভারতীয় এ মুখপাত্র। এর জেরে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।

এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেছেন, আমরা ওই শোটি দেখেছি। তিনি যেভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন এবং পরে বলেছিলেন, তিনি একজন আইনজীবী, এটি লজ্জাজনক। তার উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।

এদিকে নূপুরের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, নূপুর শর্মা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাকে প্রতিদিন প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

‘সম আচরণ’ এবং ‘কোনো বৈষম্য নয়’ বিষয়ে নূপুর শর্মার যুক্তি খারিজ করে দিয়ে বিচারকরা বলেন, যখন আপনি অন্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করেন তাদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা হয়েছে আর যখন এটি আপনার বিরুদ্ধে হয়েছে কেউ আপনাকে স্পর্শ করার সাহসও করেনা।

সুপ্রিম কোর্ট বলেন, তার মন্তব্য তার ‘অবাধ্য এবং অহংকারী চরিত্রকে’ দেখিয়েছে। তিনি যদি কোনো দলের মুখপাত্র হন, তিন মনে করেন, তার পেছনে ক্ষমতার সমর্থন রয়েছে। আর রাষ্ট্রের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে তিনি কি যে কোনো ধরনের বিবৃতি দিতে পারেন?

তখন আইনজীবী নাগরিকদের কথা বলার অধিকারের বিষয় সামনে আনেন। জবাবে বিচারক ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে কথা বলার অধিকার সবার রয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে ঘাসের বেড়ে উঠার অধিকার রয়েছে এবং গাধার অধিকার রয়েছে তা খাওয়ার।

সুপ্রিম কোর্ট বলেন, তাকে সাংবাদিকদের কাতারে বসানো যাবে না। যখন তিনি টিভি বিতর্কে গিয়ে শ্লীলতাহানি করেন এবং সমাজের কাঠামোতে এর প্রভাব এবং পরিণতির কথা চিন্তা না করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেন।

মহানবী (সা.)-কে নিয়ে নূপুর শর্মার করা মন্তব্যের পর থেকেই দেশটির পরিস্থিতি উত্তপ্ত। এ ছাড়া এ ঘটনায় মাধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ কড়া প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। বিজেপি যদিও ঘটনার শুরুর দিকেই পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের এ মুখপাত্রকে বহিষ্কার করেছিল। কিন্তু এতে নিন্দার ঝড় থামানো যায়নি।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image