• ঢাকা
  • রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৫ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মুন্সীগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্য উন্নয়নে নতুনধরা এসেটস প্রকল্প নিদর্শন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৫৮ পিএম
মুন্সীগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্য উন্নয়নে নতুনধরা এসেটস প্রকল্প নিদর্শন
ড. মোঃ সাদী উজ জামান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক-নতুনধরা এসেটস গ্রুপ

এজাজ রহমান: মুন্সীগঞ্জ-শ্রীনগরে আবাসন প্রকল্প ও এলডিসি উত্তরণের ইকুনোমিক্যাল জোন বাস্তবায়ন হলে আবাসন খাতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে বলে বলেন- ড. মোঃ সাদী উজ জামান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক-নতুনধরা এসেটস গ্রুপ।

ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে সংলগ্ন নতুনধরা এসেটস প্রকল্প মুন্সীগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্যকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলার লক্ষ্যে আধুনিকায়ন আবাসন শিল্পের বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়প্রাপ্ত ও সড়ক জনপথ কর্তৃক ছাড়পত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকা। সেই জেলার ইতিহাস ঐতিহ্যকে নিদর্শন হিসেবে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ প্রতিভা বিকাশে সহায়ক হবে। মুন্সীগঞ্জ, শ্রীনগর, হাসেরা উপজেলার ইতিহাস অন্বেষনের সাংবাদিক সফরের সফলতায় প্রতিবেদন প্রকাশ। আড়িয়াল বিল বর্ষাকলে অথৈ জলরাশি আর শীতকালে বিস্তৃর্ণ সবুজ শস্য পূর্ণ দেশের মধ্য অঞ্চলের সব চেয়ে বড় ও প্রাচীন বিলের নাম আড়িয়াল বিল।

ঢাকার দোহার নবাবগঞ্জ এবং মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও সিরাজদ্দিখান উপজেলার প্রায় ১৩৬ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই বিলের অধিকাংশ অংশ মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত ধারণা করা হয়, প্রাচীনকালে গঙ্গা ও বহ্মপুত্রের মিলস্থল নদী প্রবাহের ফলে সুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে মুন্সীগঞ্জ জেলার পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর মাঝে আড়িয়াল বিলে উৎপত্তি প্রকৃতি অপার সৌন্দর্য্যরে সাজানো আড়িয়াল বিলে ঋতুভেদে নতুন নতুন বৈচিত্র্যের প্রকাশ ঘটে। ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শ্রীনগর উপজেলার আড়িয়াল বিলের দুরত্ব প্রায় ৪২ কিলোমিটার। ঢাকার গুলিস্থান, আবদুল্লাপুর বা মিরপুর থেকে মাওয়াগামী যেকোন বাসে চড়ে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে যাওয়া যায়।

শ্রীনগরের বাজার থেকে রিকশা নিয়ে গাদিঘাট যেতে হবে। মুন্সীগঞ্জে হাজার বছরের প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামে মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজার বছরের পুরানো বৌদ্ধ বিহারের সন্ধান মিলেছে। প্রত্নসম্পদ ও ঐতিহাসিক নিদর্শন উদ্ধারে চালানো খনন কাজের মাধ্যমে এ বৌদ্ধ বিহার আবিষ্কার হয়। একেকটি ভিক্ষু কক্ষের পরিমাণ আনুমানিক ৩ দশমিক ৫ মিটার  (দৈর্ঘ্য) ও ৩ দশমিক ৫ মিটার (প্রস্থ)। ধারণা করা হচ্ছে, বৌদ্ধ ধর্মের জ্ঞান তাপস অতীশ দ্বীপঙ্করের সঙ্গে এ  বৌদ্ধ বিহারের সম্পর্ক রয়েছে। আবিষ্কৃত বৌদ্ধ বিহারের নকশা অনুযায়ী এর একটি প্রাচীর দেয়াল উত্তর দিকেও অপর আরেকটি দেয়াল পশ্চিম দিকে ধাবমান বলে নিশ্চিত হয়েছেন খননকারীরা।

যেসব ভিক্ষু কক্ষ উন্মোচিত হয়েছে তা বৌদ্ধ বিহারের দক্ষিণ পূর্ব কোনে অবস্থিত। মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্মের পন্ডিত ও বিশ্বের দ্বিতীয় বুদ্ধ অতীশ দ্বীপঙ্করের বাস্তভিটার কাছে সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ও রামপাল অঞ্চলে প্রাচীন নির্দশন ও প্রত্নতান্ত্রিক সম্পক উদ্ধারে ২০১১ সাল থেকে প্রত্নতত্ত জরিপ ও খনন কাজ হাতে নেয়া হয়। অগ্রসর বিক্রমপুর নামে একটি সংগঠনের উদ্যেগে বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্তিক খনন ও গবেষণা প্রকল্প এখন কাজ করে আসছে। প্রত্নতত্ত খনন কাজের গবেষণা পরিচালক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল প্রত্ন-কননকারী এ খনন কাজ করে আসছেন।

বৌদ্ধ বিহার আবিষ্কারের ফলে বিক্রমপুর অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য বিশ্বের দরবারে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করা হয়েছে। কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে জায়গা করে নেবে আবিষ্কৃত এ বৌদ্ধ বিহার এমনটাই জানিয়েছেন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। বিক্রমপুর তথা রামপালের কলার প্রচুর খ্যাতি ছিল দেশ-বিদেশে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে রামপালের ঐ কলা যেতো মধ্য প্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্ররিকা ও আমেরিকায়। ষোলো আনি সৈকত-ঢাকা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে মুন্সীগঞ্জ জেলা গজারিয়া থানায় মেঘনা নদীর পাড় ঘেসে ষোলো আনি প্রজেক্ট বর্তমানে ষোলে আনি সৈকত নামে পরিচিত। দর্শনার্থী কিংবা ভোজন রশিক যাই বলেন, তাদের কাছে নদীর ইলিশ মাছ ভাজা মাছের চাহিদা ব্যাপক। আর এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। নাটেশ্বরের হারানো নগরী: মুন্সগঞ্জের দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে নাটেশ্বর প্রত্নতাত্তিবক খননকৃত বৌদ্ধ মন্দির স্তুপ অন্যতম। টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনার রঙ টঙ্গীবাড়ী ইউনিয়নের নাটেশ্বর গ্রামের ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের প্রত্নতাত্তিক খননে আবিষ্কৃত হয় মন্দির এবং স্তুুপ স্থাপত্বের অংশ বিশেষ।

মাওয়া রিসোর্ট -ঢাকার খুব কাছেই বেড়ানোর জায়গা কিংবা অবকাশ কেন্দ্র যারা খুজছেন তাদের জন্য পদ্মা পাড়ের মাওয়া রিসোর্ট হতে পারে প্রথম পছন্দ। রিসোর্ট দেখলেই মনে যেনো নিজের ছিমছাম ঘর, অথচ একটু সামনেই প্রমত্তা নদী পদ্মা। ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণে বিক্রমপুরের লৌহজং উপজেলার মাওয়া ১নম্বর ফেরীঘাট থেকে একটু দক্ষিণে মাওয়া ভাগ্যকুল রাস্তার কান্দি পাড়া গ্রামে নির্মিত এই রিসোর্ট যেনো প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য মন্ডিত একটি অন্য রকম পর্যটন কেন্দ্র সেখানেই গড়ে উঠেছে নতুনধরা প্রকল্পের কনভেনশন হল ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে রিসোর্ট করার।  

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image