মাঘের শীতে বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি, চলছে শৈত্যপ্রবাহ

নিউজ ডেস্ক:  মাঘের শীতের মধ্যেই গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। তবে আপাতত আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মেঘও কেটে গেছে। এর ফলে তাপমাত্রা কমে দেশের কিছু অঞ্চলে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে শীত আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমনটিই বলা হয়েছে।

খুলনা, যশোর, বরিশালসহ দেশের দক্ষিণের নানা স্থানে অনেক সময় ধরে বৃষ্টি হয়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতেও। এতে মানুষের কষ্ট বেড়েছে।

রংপুর বিভাগসহ ১০ জেলায় বয়ে গেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল, কোনো এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

জানা গেছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে চার জেলায় স্কুল বন্ধ করা হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ হলেও প্রাথমিকের ক্লাস চলেছে। আবার কোনো স্থানে শিক্ষার্থীরা স্কুলে উপস্থিত হওয়ার পর ক্লাস বন্ধের ঘোষণা পেয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার শৈত্যপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়তে পারে। আর সেই সঙ্গে পাঁচ বিভাগের দু–এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপমাত্রা আর বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। 

বৃষ্টিতে এসব এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীদের। বুধবার সন্ধ্যায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখার কোনো ঘোষণা না এলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের প্রভাব পড়ে সেখানে। এতে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যায়।

শৈত্যপ্রবাহের কারণে কুড়িগ্রামের স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে, ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুরে ১০ দিন ধরে টানা শৈত্যপ্রবাহ চলছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এ জেলার প্রাথমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণার বিষয়ে দিনাজপুরের জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুল এখনো বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রোববারও যদি এমন শীত থাকে, তাহলে স্কুল বন্ধ থাকবে।’

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শ্রেণির পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এই নির্দেশনা পেতে দেরি হওয়ায় পাঠদান শুরুর পর জেলার বেশির ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে বেলা পৌনে ১১টা থেকে সোয়া ১১টায়।

রংপুর বিভাগের সব কটি জেলা এবং কিশোরগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বলেন, এসব অঞ্চল তো বটেই আরও নতুন নতুন এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের পরিধি বাড়তে পারে।

সেই অনুযায়ী খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের দুএক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দুপুর পর্যন্ত কোথাও কোথাও তা অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

• বিষয়:
• মাঘের শীত
• বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি
• শৈত্যপ্রবাহ
• গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি