• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৫ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

রাষ্ট্র ধর্মের অবমাননা রাষ্ট্রদ্রোহিতা, সর্বোচ্চ সাজা চায় : ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:০০ পিএম
রাষ্ট্র ধর্মের অবমাননা রাষ্ট্রদ্রোহিতা, সর্বোচ্চ সাজা চায় : ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সম্মান সুরক্ষায় পৃথক ধারা চেয়ে মানববন্ধন করেছে 'ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজ'।

শনিবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি সরকার সাহেবের নিরাপত্তা আইন ২০২৩ নামক একটি নতুন আইন পাস করতে যাচ্ছে। আন্টি পাস করার পূর্বে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি নামক একটি ওয়েবসাইটে আইনটির খসড়া আপলোড করে নাগরিকদের মন্তব্য জানতে চেয়েছেন। আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সেই মতামত দেওয়ার জন্য আজকে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছি।

তারা বলেন, বাংলাদেশের রাস্তার ধর্ম হচ্ছে 'ইসলাম'। রাস্তার ধর্মের সম্মান সুরক্ষা দেওয়া রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্রধর্মের সম্মান সুরক্ষায় দেশে পৃথক কোন আইন নেই। প্রায়ই দেখা যায় কিছু দুষ্কৃতিকারী রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করে। কিন্তু রাষ্ট্র ধর্মের সম্মান সুরক্ষায় পৃথক কোন আইন না থাকায় সে অপরাধ কার্যকর উপায়ে রোধ করা যায় না। সরকার যেহেতু আমাদের কাছে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে মতামত জানতে চেয়েছে, তাই বাংলাদেশের ধর্ম পান নাগরিকদের মতামত হচ্ছে, প্রস্তাবিত সাহেবের নিরাপদ আইনে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সম্মান সুরক্ষায় পৃথক ধারা সংযুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্র ধর্মের অবমাননা দেশদ্রোহিতা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ধর্মের অবমাননায় সর্বোচ্চ সাদা মৃত্যুদন্ডের বিধান রাখতে হবে।

তারা আরও বলেন, প্রস্তাবিত আইনের খসড়া পাঠে আমরা জানতে পেরেছি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বা ১৮ ধারার সাজা হ্রাস করা হবে, এটি খুব উদ্বেগজনক বিষয়! কারণ ২০১৩ সালের সাইবার ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠার পূর্বে অনলাইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত রোধে কার্যকর শক্ত কোন আইন হচ্ছিলো না। যার প্রতিক্রিয়া দেশে ভয়ঙ্কর স্থিতিশীলতা তৈরি হয় এবং শাপলা চত্বরে আন্দোলনের মত ঘটনা ঘটে। ২০১৩ সালের পর শক্ত আইন কার্যকরের মাধ্যমে অনলাইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় এবং দেশের স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। কিন্তু বর্তমান প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী সাজা যদি হ্রাস বা দুর্বল করা হয় তাহলে পুনরায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধ বৃদ্ধি পাবে। যার প্রতি কে দেশে আবারো অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হবে। তাই ২৮ ধারার সাজা হ্রাস কখনোই যুক্তিসঙ্গত হবে না, বরং এ ধারায় সাজা আরো বৃদ্ধি করতে হবে।

'ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজ' নেতৃবৃন্দরা বলেন, বর্তমানে অনলাইনে অনেক নিষিদ্ধ বস্তুর ক্রয়-বিক্রয়, লেনদেন ও প্রচারণা হয়। যেমন মদ ও নেশা জাতীয় দ্রব্য নিষিদ্ধ বই বিস্ফোরক আতশবাজি জুয়া বা ব্যাটিং পতিতাবৃত্তি কিডনি ক্রয় বিক্রয় সমকামিতা ইত্যাদি অনলাইনের মাধ্যমে অনেক সহজলভ্য আকার ধারণ করেছে। প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে অনলাইনে সমস্ত নিষিদ্ধ বস্তুর প্রচার ক্রয় বিক্রয় ও লেনদেনেও অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, 'ধর্মাপ্রাণ নাগরিক সমাজ'র আহ্বায়ক মোঃ আবু সায়েম রিমন, সদস্য সচিব, এড. মুহম্মদ মাসউদুজ্জামান, সদস্য এড. মুহম্মদ জহিরুদ্দিন, মুহম্মদ আরিফুল কবীর, মুহম্মদ হাবিবুর রহমান, মুহম্মদ রওশন আলী, এড. মুহম্মদ জাভেদ নাইম আহমদসহ 'ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজ'র অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image