• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ পণ্য পাবেন ফারমার্স মার্কেটে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:১১ পিএম
সাশ্রয়ী মূল্যে পাবেন
ফারমার্স মার্কেটে নিরাপদ পণ্য

নিউজ ডেস্ক : বর্তমান গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উৎসব এলে তা ঠেকে ৯০০ টাকায়। গরুর মাংসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাসি ও মুরগির দামও। 

বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, তৃণমূলের খামারিরা সরাসরি ফারমার্স মার্কেটে সাশ্রয়ী মূল্যে গরু ও খাসির মাংস, দুধ, পনির, ঘি, দইসহ বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রির সুবিধা পাবেন। এতে ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ পণ্য পাওয়ার পাশাপাশি খামারিরাও লাভবান হবেন। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য থেকেও মুক্তি পাবেন।

কম দামে গরুর মাংস বিক্রি ও লোকসান থেকে খামারিদের রক্ষায় এরই মধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন। ডেইরি খাতের সবচেয়ে বড় এ সংগঠন মাংসসহ দুগ্ধজাত পণ্য পৌঁছে দিতে ঢাকায় ‘ফারমার্স মার্কেট’ চালুর বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) প্রস্তাবনাও দিয়েছে। এই কাজে ঢাকার অঞ্চলভেদে খামারিদের জন্য আলাদা মার্কেট বা স্টল বরাদ্দ ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা চান তাঁরা।

ইউরোপসহ উন্নত বিশ্বের আদলে এই ফারমার্স মার্কেটের প্রস্তাবনা নিয়ে এরই মধ্যে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে গরুর মাংসের দাম কমছে না। এই কারসাজির সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও বিক্রেতারা জড়িত। 

এ ছাড়া পশুখাদ্যের অগ্নিমূল্য, পথে পথে চাঁদাবাজি, হাটে নির্ধারিত হাসিলের চেয়ে বেশি টাকা আদায় ও সরকারের তদারকি না থাকার কারণে মাংসের দাম বাড়ছে। অথচ কম দামে পশু বিক্রি করার পরও অভিযোগের তীর থাকে খামারিদের দিকে। মূল হোতারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। 

গবেষক ও কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, বিশ্বের উন্নত সব দেশেই খামারিরা সরাসরি বাজারে পণ্য বিক্রি করেন। ঢাকা শহরেও অনেক কৃষকের বাজার তৈরি করেছে সরকার। এতে নিরাপদ সবজি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক ও ক্রেতা। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডেইরি খাতের খামারিদের জন্যও মার্কেট তৈরি করলে মাংসের বাজারে এর প্রভাব পড়বে।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ায়। সে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। খামারিকে সরাসরি ভোক্তার হাতে পণ্য তুলে দেওয়া সুযোগ দিলে দুর্বল হয়ে পড়বে সিন্ডিকেট।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image