দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক দুই ডিগ্রী সেলসিয়াস স্কুল খোলা রেখেছেন শিক্ষা কর্মকর্তা। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খোলা রাখা হয়েছে উচ্চ বিদ্যালয় গুলো।
তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় কাবু দিনাজপুরের মানুষ। অতিরিক্ত শীতে জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে নামলে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু দিনাজপুর জেলায় প্রাথমিক স্কুলের পাঠদান বন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক শাখার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে খোলা রাখা হয়েছে। খোলা রাখা হয়েছে দিনাজপুর জিলা স্কুল, দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও দিনাজপুর কালেক্টরেট উচ্চ বিদ্যালয়ও।
প্রচন্ড ঠান্ডায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে আসতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। তাপমাত্রা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ( ২২ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়ছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এটি সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত ১ সপ্তাহে এ জেলায় ৪ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
টানা দুই সপ্তাহ ধরে দিনাজপুরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহসহ তীব্র শীত বিরাজ করছে। তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৮ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত দুইদিনে কুয়াশা কিছুটা কমলেও বয়ে যাচ্ছে হিমেল বাতাস। দুপুরের দিকে কিছু সময় সূযের আলোর দেখা মিললেও হিমেল হাওয়ার কারনে রোদ অনুভূত হচ্ছেনা। কাহিল হয়ে পড়েছেন শিশু ও বয়োজৈষ্ঠ্যরা। তবে তীব্র শীত উপেক্ষা করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাতায়াত করছে।
সোমবার সকালে জেলা শহরের কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা যায় কোথাও ক্লাশ চলছে কোথাও চলছে প্রাত্যহিক সমাবেশ। সকাল পৌনে ১১টায় কালেক্টরেট স্কুলে প্রাত্যহিক সমাবেশ(অ্যাসেম্বলী) করতে দেখা যায়।
অভিভাবক আরিফুল ইসলাম বলেন সরকারী নির্দেশনা মতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর নিচে নামলে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার কথা। তারপরও স্কুল খোলা রাখা হয়েছে। শীতের সকালে ছেলে ঘুম থেকে উঠতেই চায়না জোর করেই স্কুলে আনলাম। নাহলে তো ছেলে অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে যাবে।
কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। স্কুল বন্ধের বিষয়টিতে তারা বিব্রত কিন্তু জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় স্কুল খোলা রাখা হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা কম ছিল, পরে তাপমাত্রা বেড়েছে আঞ্চলিক উপ-পরিচালক এর সাথে কথা বলেছি। করোনাকালীন দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। তাই বিদ্যালয়গুলো চালাতে চাই।
এবিষয়ে রংপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: