নিউজ ডেস্ক : শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী, লেখক, সাহিত্যিক ও সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সারকে হৃদয় নিঙড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানানো হলো। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিশিষ্টজনরা এসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ ও প্রজন্ম গড়ে তুলতে শহীদ জায়া পান্না কায়সারের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে মিরপুর বুদ্ধিজীবী করবস্থানে।
একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার যুদ্ধ। সেই যুদ্ধের অন্যতম এক সৈনিক পান্না কায়সার। তাইতো তার মৃত্যুতে এতো মানুষের ঢল। যাদের প্রত্যেকেই এক একজন যোদ্ধা। এক একজন দেশপ্রেমিক।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রোববার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে আনা হয় শহীদ জায়া পান্না কায়সারের মরদেহ। এসময় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতাকর্মীরা অশ্রুসিক্ত নয়ন আর ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানান তাকে।
দেশের প্রতি পান্না কায়সারের একনিষ্ঠ ভালোবাসা তুলে ধরেন বিশিষ্টজনরা । তারা বলেন, তাঁর বিদায়ে নিভে গেলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার আরেকটি নিষ্কম্প মশাল।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে জানাজায় অংশ নেন অনেকে। কামনা করেন রুহের মাগফিরাত।
কুমিল্লায় ১৯৫০ সালের ২৫ মে জন্ম নেন পান্না কায়সার।শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে তার বিয়ে হয় ১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি বাহিনীর স্থানীয় সহযোগী আলবদর সদস্যরা শহীদুল্লা কায়সারকে তাঁর বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: