• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৭ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বিশ্ব নদী দিবস আজ


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:০৬ এএম
বিশ্ব নদী দিবস আজ
বিশ্বব্যাপী নদী দিবস পালিত

নিউজ ডেস্ক : আজ বিশ্ব নদী দিবস। নদী রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ রবিবার বিশ্বব্যাপী নদী দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির সূচনা হয়েছিল আশির দশকে, কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যে। ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নদীপ্রেমিক এক তরুণশিক্ষক মার্ক অ্যাঞ্জেলো তার কিছু ছাত্রছাত্রী ও বন্ধুদের নিয়ে একটি নদীতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালান। নদীটি বৈঠা চালিয়ে যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ছিল। সেই নদীতে ফেলা ময়লাগুলো মার্ক অ্যাঞ্জেলোরা পরিষ্কার করেন। তখনো তারা জানতেন না যে, এটি ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে।
 
বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে জাতীয় নদীরক্ষা কমিটি, বিভিন্ন পরিবশেবাদী সংগঠন। জনজীবনে নদীর গুরুত্ব বাড়াতে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়। এ বছর বিশ্ব নদী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—‘আমাদের জনজীবনে নৌপথ’। এই দিবসে কালীগঞ্জের শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী নিয়ে এই আয়োজন।

জানা যায়, গত ৫০ বছরে দেশের নদনদীর সংখ্যা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকায় থাকা মোট ৩৮৩টি নদীর অনেকগুলোর অবস্থাও সংকটাপন্ন। দূষণ ও অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, নগরায়ণ, আবাসনের ফলে ছোট-বড় আরও অনেক নদী অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। নদনদী ও প্রাকৃতিক খাল রক্ষায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে সরকার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের নগরায়ণের ফলে নদীগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা ধীরে ধীরে নদী দূষণ করছি ও দখল করছি। এখন যদি এসব বন্ধ করতে না পারি, তবে সামনে আমাদের দুর্দিন আসছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৫০ বছরে দেশের নদনদীর সংখ্যা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকায় থাকা মোট ৩৮৩টি নদীর অনেকগুলোর অবস্থাও সংকটাপন্ন। দূষণ ও ভূমিদস্যুদের আগ্রাসনের পাশাপাশি অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, নগরায়ণ, আবাসন, সেতু, কালভার্ট ও স্লুইসগেট নির্মাণের ফলে ছোটবড় আরও অনেক নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে। নদনদী ও প্রাকৃতিক খাল রক্ষায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে সরকার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছে। তবে প্রয়োজনীয় জনবল ও অন্যান্য সুবিধা না থাকায় সংস্থাটি যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।

নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশ ধ্বংস করে কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে তার ফলাফল শূন্যই থেকে যায়। এখন যদি এসব বন্ধ করতে না পারি, তবে সামনে আমাদের দুর্দিন আসছে।

বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীকে বাঁচাতে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্নভাবে সামাজিক আন্দোলন করে যাচ্ছি। অথচ প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগের অভাবে আজো শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর দখল ও দূষণ বন্ধ করা যায়নি। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে জেলার শ্রীপুর উপজেলার লবণদহ নদীর দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image