• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৫ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী কর্মনির্ভর শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদ তৈরি করতে হবে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৫৯ পিএম
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী কর্মনির্ভর শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদ তৈরি করতে হবে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী দক্ষ জনসম্পদ তৈরি করতে হলে সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষার পরিবর্তে কর্মনির্ভর শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে বলে মতামত ব্যক্ত করা হয় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি ২০২২ অবহিতকরণ কর্মশালায়।

বুধবার (১৬ আগস্ট) জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে আনন্দোমহন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ মাহতাব উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মোঃ ফরিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলার দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভাগগুলোর শতাধিক কর্মকর্তা অংশ গ্রহণ করেন। 

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক( মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি ময়মনসিংহ বিভাগের কর্মদক্ষতার বর্তান চিত্র ও কর্মশালা আয়োজনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও প্রকল্প পরিচালক কামরুন নাহার সিদ্দিকা। মূল প্রবন্ধে কামরুন নাহার সিদ্দিকা বলেন বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ‘জনমিতিরি আধিক্য’ সময় অতিক্রম করছে যা শতাব্দীতে একবার আসে। ১৪ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে অবস্থানরত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বলা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৭ কোটি লোকের মধ্যে ১০ কোটি ৫৬ লক্ষ লোক ১৪-৬৪ বছর বয়সের মধ্যে অবস্থান করছে যাকে ‘জনমিতিরি আধিক্য’ সময় হিসেবে গণনা করা হয়। সে বিবেচনায় এদেশে এখন কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। কিন্তু যথাযথ দক্ষতার জন্য আমরা উদ্বৃত্ত জনসংখ্যার সুফল লাভ যাচ্ছে না। জনসংখ্যাকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ জনসম্পদে রুপান্তর করতে হবে। 

প্রবন্ধের উপর আলোচক হিসেবে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ইউনিফায়েড প্রশিক্ষণ সনদ ও মান রক্ষার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। প্রশিক্ষণকে সময়োপযোগী করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে একটা ছাতার নিচে নিয়ে আসা জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কর্মশালায় পরিবর্তনশীল আগামীর জন্য উপস্থাপনা প্রদান করেন দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। তিনি আন্তর্জাতিক বাজারে শ্রমিকদের দক্ষতার ধরণ উপস্থাপন করেন।

আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রবন্ধের উপর আলোচনায় বলেন, একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে হবে। শিক্ষাকে জ্ঞান লাভের পাশাপাশি কর্মলাভের উপযোগী করে গড়ে তোলা প্রয়োজন।

কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট নির্ভর না হয়ে কর্মনির্ভর দক্ষ জনশক্তিকে রূপান্তরের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন পুলিশ সুপার।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একাডেমিক শিক্ষা ও কর্মমূখী শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম প্রণয়নের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করা হয়। দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত সনদ না থাকায় শ্রমবাজারে বাংলাদেশ গুরুত্ব হারাচ্ছে বলেও সভায় মতামত উপস্থাপিত হয়। 

বিদ্যমান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আধুনিক ও সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি যোগানের গুরুত্ব উপলব্ধি করা হয় কর্মশালায়। এ কাজে বেসরকারিভাবেও আধুনিক ও দক্ষ জনশক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে বলে কর্মশালায় মতামত ব্যক্ত করা হয়।

দক্ষ লোক তৈরির পাশাপাশি বিদ্যমান দক্ষ লোকের দক্ষতার উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের উপর উপস্থাপনায় গুরুত্ব প্রদান করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের জনসংখ্যাকে দক্ষ করতে প্রথমেই চাহিদা তৈরি করতে হবে। জনগণ কর্ম বাজারে কি ধরনের প্রশিক্ষণ চায়, এখানকার পরিবেশ প্রতিবেশ কি ধরনের কাজের উপযোগী সেটা নির্ণয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কমিশনার। তিনি বলেন বিশ্ব কর্মবাজারে টিকে থাকতে হলে বিশ্ব চাহিদাকে সামনে রেখে শ্রমিক তৈরি করতে হবে। অদক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা কমে আসছে। তাই দেশে বিদেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদার উপযুক্ত জনশক্তি তৈরি করতে হবে। দেশে পর্যাপ্ত জনসম্পদ থাকার পরেও দেশের শ্রমবাজারে বিদেশি শ্রমিকদের চাহিদার গ্যাপ খুঁজে তার প্রতিকার বের করার অনুরোধ করেন কমিশনার।

ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস

আরো পড়ুন

banner image
banner image