• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্র


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০২ এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৫৩ পিএম
বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, অভিবাসন এবং গতিশীলতা
জয়শঙ্করের সঙ্গে এলিজাবেথ ট্রাস বৈঠক

নিউজ ডেস্ক:  ভারত ও যুক্তরাজ্যের ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাঁড়াতে প্রণীত রোডম্যাপ-২০৩০ এর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন দেশ দুটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং লিজ ট্রাস বৃহস্পতিবার, নয়াদিল্লীতে বৈঠকে বসেন দুই নেতা। এসময়, সাম্প্রতিক ইউক্রেন ও আফগানিস্তান ইস্যুতেও মতবিনিময় করেন তারা।

বৈঠক শেষ এক টুইটবার্তায় ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, “এইমাত্র যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সঙ্গে রোডম্যাপ-২০৩০ নিয়ে আলোচনা হলো। আমরা এর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি। বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, অভিবাসন এবং গতিশীলতা, এসএন্ডটি, শিক্ষা, জলবায়ু সহযোগিতা এবং সবুজ শক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তর কথা হয়েছে আমাদের মধ্যে।”

পাশাপাশি, ইউক্রেন, আফগানিস্তান, ইরান, জেসিপিওএ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সর্বশেষ পরিস্থিতি সহ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা ইস্যুতে মতবিনিময় করেছেন দুই নেতা। এর আগে ভিন্ন এক টুইটে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভারতে স্বাগত জানান জয়শঙ্কর।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূতাবাস পূর্বেই জানিয়েছিলো, “ইউক্রেনে অবৈধ রুশ হামলার পর বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরীতে এবং ব্যাপক কূটনৈতিক চাপ বাঁড়াতে ভারত সফরে আসছেন লিজ ট্রাস। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও একই অনুরোধ রাখবেন তিনি।”

উল্লেখ্য, একই সময়ে ভারত সফর করছেন রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এদিকে, গতবছরের ০৪ মে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ বৈঠকে রোডম্যাপ-২০৩০ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিলো। উক্ত সামিটের পর দ্বিতীয়বারের মতো ভারতে আসছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠকের পর ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (আইসিডব্লিউএ) আয়োজিত প্রথম ভারত-ইউকে স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স ফোরামেও অংশ নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর ও লিজ ট্রাস। সেখানে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন তারা।

লিজ ট্রাসের এবারের ভারত সফরটি দু দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, জলবায়ু সহযোগিতা, শিক্ষা এবং ডিজিটাল যোগাযোগের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে সহায়তা করবে বলে আশাবাদী ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রভূত উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্য স্বরূপ “রোডম্যাপ-২০৩০” ঘোষণা করা হয়। এই রোডম্যাপের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য, দু দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক দ্বিগুণ করা এবং আর্থিক ভিত্তি মজবুত করা।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image