• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বেক্সিমকো পাওয়ার নির্মিত দুইশ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ০২ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:২৮ পিএম
বেক্সিমকো পাওয়ার নির্মিত
দুইশ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন

নিউজ ডেস্ক:  উদ্বোধন হলো দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র তিস্তা সোলার লিমিটেড। বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠের সমাবেশ থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বেক্সিমকো পাওয়ার নির্মিত দুইশ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অনাবাদি চরের সাড়ে ছয়শ একর জমিতে গড়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় ও এশিয়ার অন্যতম বড় সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। তিস্তা সোলার লিমিটেড নামের এই কেন্দ্রটি গড়ে তুলেছে  বেক্সিমকোর গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেড। 

তিস্তা পাড়ের লাটশালা এলাকায় বিশাল এই কেন্দ্রটির নির্মাণ শুরু হয় ২০১৭ সালে। বসানো হয় সাড়ে পাঁচ লাখ সোলার প্যানেল। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সুন্দরগঞ্জের তিস্তা পাড় থেকে রংপুর পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ১২২টি টাওয়ারের ১৩২ কিলো ভোল্টের ৩৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। নির্মাণ করা হয়েছে সাবস্টেশন, বসানো হয়েছে ইনভার্টারসহ সব ধরনের যন্ত্র। 

বন্যা, নদী ভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রক্ষায় নির্মাণ করা হয়েছে বাঁধ ও চলাচলের জন্য সাত কিলোমিটার সড়ক। যার সুবিধা পাচ্ছেন স্থানীয়রা।

রংপুর সফরে এসে উত্তরের মানুষে জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পূরনের অংশ হিসেবে এই বিদ্যুতকেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে উৎপাদিত বিদ্যুৎ। এ কেন্দ্র থেকে দিনে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে  জাতীয় গ্রিডে। 

উদ্বোধন হল দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র তিস্তা সোলার লিমিটেড
উদ্বোধন হল দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র তিস্তা সোলার লিমিটেড
প্রকল্পটি নিয়ে বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেড এর চেয়ারম্যান শায়ান এফ রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটা রোডম্যাপ আছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে, পরিবেশ রক্ষা নিয়ে। সরকার এটা নিয়ে অনেক কাজ করছে। বেক্সিমকো অনেক খাতে পাইওনিয়ার। আমরা মনে করি, এই রিনিউয়াবল এনার্জি সেক্টর ভবিষ্যত জ্বালানির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাই আমরা এখাতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেই।

এই প্রকল্পটি শতভাগ বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের মালিকায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পে অর্থায়নে আমরা দেশে প্রথম সুকুক বন্ড চালু করি। এ প্রকল্পে আমাদের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আরো সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা করছি।

এই প্রকল্প উত্তরবঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ তৈরিতেও ভূমিকা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও অবদান রাখবে বলে মনে করেন শায়ান এফ রহমান৷ 

বিশ্বব্যাপি পরিবেশ রক্ষায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেয়া হচ্ছে। উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও জ্বালানি আমদানি কমাতে সরকারও এখাতে জোর দিয়েছে। যার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বেক্সিমকো। উত্তরবঙ্গে আরও একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে দেশের শীর্ষ এই শিল্পগ্রুপ।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image