
জহিরুল ইসলাম সানি:
পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে মোটরবাইক চলাচল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন মোটরবাইক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে আমরাও গর্বিত অংশীদার, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী 'আমার টাকায় পদ্মা সেতু'। তাহলে আমরা পদ্মা সেতুতে কেন মোটরবাইক নিয়ে চলাচল করতে পারবে না? পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সময় বলা হয়েছিল এটা সাময়িক সময়ের জন্য অথচ ৮ মাস অতিবাহিত হলেও বাইক চলাচলের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তাই আজকে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।
বক্তারা আরো বলেন, দক্ষিণবঙ্গের লক্ষ লক্ষ বাইকারদের লালিত স্বপ্ন পদ্মা সেতু দিয়ে বাইক চলাচলের মাধ্যমে সকালে ঢাকায় এসে অফিস করে বিকালে পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরও চাওয়া ছিল। কিন্তু সে স্বপ্ন বাইকারদের জন্য আজও অধরা। যে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার জন্য এমন পদক্ষেপের কথা বলা হচ্ছে, টলার, লঞ্চ ও ট্রাকে বাইক পারাপার তার চেয়েও জীবনকে আরো ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। উত্তাল পদ্মার বুকে বাইক বহনকারী টলার ও লঞ্চের চেয়েও বড় কোন দুর্ঘটনার কবলে পড়লে সেই দায় কে নিবে? তাছাড়া রাত হলে যত প্রয়োজনই হোক না কেন বাইকাররা নদী পার হতে পারে না, এটা চরম অমানবিকতা। পদ্মা নদী পার হতে লঞ্চে ৪৫০ টাকা ও ট্রাকে ১০০০ টাকা করে নিচ্ছে, যা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য। এছাড়া বাইক চলাচল বন্ধ করে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। কোন গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় সরকারে পদক্ষেপ থেকে সরে আসছে না তা আমাদের বোধগম্য নয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বক্তারা বলেন, পদ্মা সেতুতে বাইক চালাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার পূর্বক সরকার কর্তৃক আরোপিত সকল বৈধ নিয়মকানুন মেনে বাইক চলাচলের অনুমতি দিন। আপনার পিতৃভূমি-সহ দক্ষিণবঙ্গের লক্ষ লক্ষ বাইকারদের প্রাণের আকুতি মেনে নিন। আমাদের মা-বাবা ও পরিবারের কাছে অবাধে যাতায়াতের সুযোগ করে দিন।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জিল্লুর রহমান দীপন, রাকিবুল ইসলাম (বাবু), এস. এম. নাইম, হোসেন আরাফাত, আরিফুর রহমান, লালন ফকির, মোঃ জাহিদ, শুভ্র সেন, মোঃ তরু, মোঃ ইয়ামিন, মোঃ আরিফ, মোঃ বেলাল ও মোঃ রায়হানসহ বাংলাদেশের কয়েকশত বাইকার।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: