• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মিঠামইনে সি,সি ক্যামেরার আওতায় আসছে ঘাগড়া ইউনিয়ন বাজার


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:০৩ পিএম
সি,সি ক্যামেরার আওতায় ঘাগড়া বাজার
ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ভুইঁয়া

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- মিঠামইন উপজেলা সদরে লঞ্চ ঘাট সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়  সি,সি ক্যামেরার আওতায় আসলেও বাজারের সব স্থানে সি,সি ক্যামেরা নেই। উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের ছোট বড় ১৫ টি বাজার রয়েছে। এর মধ্যে মিঠামইন সদরের পরই  ঘাগড়া ইউনিয়নে বড় দুটি বাজার রয়েছে।

ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ভুইঁয়া তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর ১০০ দিনের একটি কর্ম পরিকল্পনা হাতে নেন। এর অংশ হিসাবে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে মিঠামইন বাজার ব্যাতিত একমাত্র ঘাগড়া বাজারেই সি,সি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসছে তিনি।চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ভুইঁয়া এ ইউনিয়নে ২৫ বছর পূর্বে চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯৬ সনে এ উপজেলার সবচেয়ে তরুণ চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি স্বর্ণপদক পেয়ে দেশের বাহিরেও সরকারি সফরও করেছেন।

ইতিপূর্বে এ ইউনিয়নে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স সহ দৃৃষ্যমান উন্নয়ন করছেন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর এবার চেয়ারম্যান হয়ে প্রথমেই ১০০ দিনের কর্মসূচি হাতে নেন। প্রথমেই তিনি ঘাগড়া বাজারে ২০ টি সি,সি ক্যামেরা স্থাপন করেন। পরবর্তীতে বাজার সেড নির্মাণ, কুটিরশিল্প সংস্কার, বাজারের পশ্চিম পাশে মাটি ভরাট করে সেড নির্মাণের প্রস্ততি নিচ্ছেন।তিনি  ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে জন্মনিবন্ধনে সচ্ছতা  এনেছেন।

ইউনিয়ন পরিষদ কাম কমিউনিটি সেন্টার কে আধুনিকায়ন করেছেন। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া চমকপুর গ্রামের দক্ষিণপাশে বেরি বাঁধে সংস্কার শুরু করেছেন। হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রথমেই উন্নয়নের সাক্ষী হিসাবে পুকুরে ঘাট নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন। সেলাই প্রশিক্ষণের জন্য সেলাই মেশিন ক্রয় করেন।এছাড়াও অসহায় মহিলাদের ভি,জি,এফ  -ভি,জি,ডি বিতরণে সচ্ছতা নিয়ে আসছেন। অন্য দিকে খাস জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেদখল হয়ে যাওয়া খাস জমি উদ্ধার করে ভূমিহীন ও অসহায়দের জন্য গূচ্ছ গ্রাম নির্মাণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি ঘাগড়া বাজারের বিলুপ্তি হয়ে যাওয়া ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে সচল করেছেন। বর্ষা মৌসুমে ট্রলার  ও নৌ-পরিবহন মালিকদের নিয়ে মিটিং করে ভাড়া নির্ধারণ সহ নৌ চলাচলে দূর্ঘটনা

এড়াতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এব্যাপারে, ৪ নং ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ভুইঁয়ার সাথে তার অফিসে কথা হয়।তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন ১৯৯৬ সনে এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। বয়সে তখন তরুণ ছিলেন। বি,এ পাস করে জনগণের সেবা করার ইচ্ছা জাগে। চেয়ারম্যান হয়েই তিনি এ ইউনিয়নে উন্নয়ন করার অঙ্গিকার করেন। তিনি এ ইউনিয়নে কাঙ্গিত উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের ফসল ও ট্যাক্স আদায়ের জন্য সরকারি ভাবে স্বর্ণপদক পেয়েছেন। সরকারি সফরে ভারতে গিয়েছেন। তিনি ভারতের পঞ্চায়েতের  অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ঐ ব্যবস্হা চালু করার চেষ্টা করে ছিলেন,কিন্তু সময় পাননি।

বর্তমানে ২ বার চেয়ারম্যান হয়ে প্রথমেই এবার ১০০ দিনের একটি কর্মসূচী হাতে নেন।এর মধ্যে গ্রামের বাজারে এই প্রথম ২০ টি সি,সি ক্যামেরা স্হাপন ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের জন্য বাজার সেড নির্মাণ। পরিষদ ভবনকে আধুনিকায়ন করন, খাস জমি উদ্ধার, রাস্তার পাশে ড্রেন সংস্কার, সবজিও মাছ বাজারের জন্য পৃথক পৃথক সেড নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন, বেরি বাঁধ সংস্কার,বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাএ,যাএীদের মাঝে বিতরণের জন্য স্কুল ব্যাগ ক্রয়।

এছাড়াও এ ইউনিয়ন কে ঝগড়া মুক্ত সমাজ ও মাদক মুক্ত ইউনিয়ন হিসাবে কাজ কারার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।এসকল কাজ তিনি ১০০ দিনের মধ্যেই সম্পূন্ন করেছেন।এছাড়াও আরও অন্তত এক ডজন কর্ম পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তিনি ঘাগড়া ইউনিয়ন কে একটি মডেল ইউনিয়ন করার পরিকল্পনা করছেন।জনগণের সহযোগিতা নিয়ে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবেন বলে জানান। মাদক মুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে।তিনি বলেন, সি,সি ক্যামেরা স্থাপনের পর বাজারে ছোট খাটো ক্রাইম বন্ধ হয়ে আসছে।

ভবিষ্যতে ক্যামেরার পরিধি আরও বাড়ানো হবে। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এর সাথে এলাকার উন্নয়ন ও খাস জমিতে গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণের বিষয়ে কথা বলেছেন। সংসদ সদস্য তাকে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য পরামর্শ দেন বলে তিনি জানান। সবশেষে ঘাগড়া ইউনিয়ন কে একটি আদর্শ ইউনিয়ন গড়ে তোলার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / বিজয়কর রতন/কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image