জাফর আলম, কক্সবাজার : কক্সবাজারের রামুতে সংরক্ষিত বনে বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে হাতিটির মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে বন বিভাগ। রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দরিয়ারদীঘি কেচুবনিয়া এলাকায় পাহাড়ি বনাঞ্চলে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।এর আগে বুধবার থেকে অসুস্থ হয়ে কাতরাতে থাকে হাতিটি। হাতিটির চিকিৎসায় বন বিভাগ মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করেছিলো। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতিটির মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সরওয়ার আলম হাতিটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন- হাতিটি লোকালয়ে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অনেক চেষ্টা করেও হাতিটিকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার চকরিয়া বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের পশু চিকিৎসক এসে হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বন বিভাগের রাজারকুল রেঞ্জের দারিয়ার দীঘি বন বিটির কেছুবনিয়া এলাকায় অসুস্থ হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে তিনি বন বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করেন।কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সরওয়ার আলম আরও জানান- রামু উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসক ও ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভেটেনারি সার্জন হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
পরে ওই স্থানে মাটি দিয়ে মৃত হাতিটি পুঁতে ফেলা হয়। হাতিটির বয়স আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ বছর হবে। এটি অনেক বয়স্ক এবং অসুস্থ ছিলো বলেও জানান তিনি। বিপুল জনসাধারণ হাতিটি দেখতে সেখানে ভীড় জমান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে হঠাৎ দেখা যায় হাতিটি জঙ্গল থেকে এসে মাটিতে শুয়ে পড়ে। তখনই হাতিটি মারা যায়নি। স্থানীয়রা তাকে পানিও খাওয়াচ্ছিল। এরপর বন বিভাগকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে বিষয়টি দেখেন। ততক্ষণে হাতিটি মারা যায়। দক্ষিণ বন বিভাগের রাজারকুল রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, হাতিটি অসুস্থ হয়ে অথবা বয়সের ভারে মারা যেতে পারে। কারণ এর শরীরের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। হাতিটির পেট ফুলে গিয়ে খুবই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নমুনা সংগ্রহের পর মাটি চাপা দেওয়া হবে৷
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: