• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৫ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কক্সবাজার সৈকতে প্লাস্টিক দৈত্য


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:২৭ পিএম
কক্সবাজার সৈকতে
প্লাস্টিক দৈত্য

জাফর আলম, কক্সবাজার প্রতিনিধি : প্লাস্টিক মানুষ ও প্রকৃতির জন্য হুমকি'-এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকৃতির প্লাস্টিক দৈত্য। পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে বানানো হয়েছে ৩৮ ফুট উঁচু ও ১৪ ফুট চওড়া এক দানব। 

এটা বানাতে ব্যবহার হয়েছে চিপসের প্যাকেট, পানির বোতল, ভাঙা বালতি, চেয়ার, বলসহ নানা ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য। ১৬ জন স্বেচ্ছাসেবক সাত দিন ধরে এ দানব তৈরি করেছেন। সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ রোধে জনসচেতনতা তৈরিতে এ প্লাস্টিক দানব তৈরি করেছে 'বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন'।

প্লাস্টিকের দানব তৈরির মূল পরিকল্পনাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী আবির কর্মকার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'প্লাস্টিক দানবটি তৈরি করতে এরই মধ্যে ২০ বস্তা পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। এসব পরিত্যক্ত পণ্য কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকত থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সাত দিন ধরে দিনরাত কাজ করে এ দানব তৈরি করেছি। তিনি আরও বলেন, 'প্লাস্টিকের দানবটির উচ্চতা ৩৮ ফুট ও প্রস্থ ১৪ ফুট। আমি, শুভ্র বাড়ৈ, নির্ঝর, সাব্বির, বিদ্যানন্দের আট জন স্বেচ্ছাসেবক ও চারজন কাঠমিস্ত্রি মিলে প্লাস্টিক দানবটি তৈরি করেছি। মূলত মানুষের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়।

কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, 'কক্সবাজার সৈকতে প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। তখন সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ-প্রতিবেশ হুমকিতে পড়ে। হোটেল-রেস্তোরাঁর বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে সাগরের নীল জল। 

প্লাস্টিক বর্জ্যে বিপন্ন হচ্ছে সামুদ্রিক প্রাণী। মারা পড়ছে গভীর সমুদ্র থেকে ডিম পাড়তে আসা মা কচ্ছপ, দ্বীপের চতুর্দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রবাল-শৈবাল। এমন অবস্থায় দ্বীপের প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এটা চলমান থাকা প্রয়োজন। যাতে আগত পর্যটকরা বুঝতে পারে, তারা যেটা করছেন সেটা ঠিক নয়।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, এই দানব তৈরির মাধ্যমেই বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসন সমাজকে একটি বার্তা দিতে চায়, প্লাস্টিকের বর্জ্য ফেলে যেভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, তা ধীরে ধীরে দানবে রূপ নিচ্ছে। আর এ দানবই পরবর্তীকালে মানবসমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এটি আগামী দুই মাস সমুদ্র সৈকতে থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক মানস পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য রেজাউল করিম, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক আকরাম হোসেন বক্তব্য দেন।এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি বিভীষণ কান্তি দাশ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image