নিউজ ডেস্ক : কল্প বাস্তবায়নে বিশেষ নজর এবং বিলাসবহুল পণ্য ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি সেসব আমদানি কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে এসব নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নিকার বৈঠকে সরকারি বিভিন্ন পতিত জমি কাজে লাগানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সব মন্ত্রণালয়ের তথ্য হালনাগাদ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও অগ্রাধিকার বিবেচনায় প্রকল্প গ্রহণ করছে সরকার, এ ক্ষেত্রে কোনো দীর্ঘসূত্রতা কাম্য নয় বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকটি ব্যাংক নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা দেশের বাইরে থেকে ছড়ানো হচ্ছে। তারপরও গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে পদ্মা ও মেঘনা নামে নতুন দুই বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। নিকার প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়নি। সভায় বাকি এজেন্ডাগুলো অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে কেন্দ্র করে যথাক্রমে পদ্মা ও মেঘনা বিভাগ হওয়ার কথা ছিল।
জানা গেছে, বিভাগ দুটি করলে কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা করে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা প্রাথমিকভাবে দরকার। সেই সঙ্গে প্রতিটি বিভাগে অন্তত ২৮টি করে নতুন দফতর খুলতে হতো। সেসব দফতরে জনবলসহ আনুষঙ্গিক অনেক বিষয় জড়িত। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার উন্নয়ন কাজের অর্থ বরাদ্দে গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই নতুন বিভাগের কাজ আগামী অর্থবছর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
বৈঠকের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, এ দুটি বিভাগ করা নিয়ে অন্যান্য জেলা, নামকরণসহ অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। তাই সব মিলিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকার আপাতত এ সিদ্ধান্ত থেকে পেছাল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রের পূর্বের তথ্যমতে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর চাপ কমানো এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে প্রায় এক দশক আগে থেকেই নতুন বিভাগ গঠনের আলোচনা হচ্ছে। ঢাকা বিভাগের বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলা: ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর নিয়ে পদ্মা বিভাগ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর–এ ছয়টি জেলা মিলে মেঘনা বিভাগ হওয়ার কথা।
দেশে বর্তমানে ৮টি প্রশাসনিক বিভাগ রয়েছে। এর সব কটিই সংশ্লিষ্ট বড় শহরের নামানুসারে নামকরণ হয়েছে। এবারই প্রথম স্থানীয় শহরের নামের বাইরে বিভাগের নামকরণ হতে যাচ্ছিল। এ দুটি বিভাগ অনুমোদন পেলে মোট বিভাগের সংখ্যা দাঁড়াত ১০টিতে। বিভাগ হচ্ছে মাঠ প্রশাসনের সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক ইউনিট। এর পরই রয়েছে জেলা ও উপজেলার অবস্থান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: