• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৯ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চাটমোহরে ডিকশি বিলের ইজারা বাতিলের দাবিতে মৎস্যজীবিদের মানববন্ধন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৭ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৩৯ পিএম
চাটমোহরে ডিকশি বিলের ইজারা বাতিলের দাবিতে
মৎস্যজীবিদের মানববন্ধন

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার ডিকশি বিল জলকরের ইজারা বাতিল ও প্রকৃত মৎস্যজীবিদের ইজারা দেওয়ার দাবিতে বিলপাড়ের বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক মৎস্যজীবি মানববন্ধন করেছেন। 

সোমবার (৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় চাটমোহর উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিলপাড়ের পবাখালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ আঃ রাজ্জাক ও বনগ্রাম মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি আমির হামজা মোড়লের নেতৃত্বে বিলপাড়ের পবাখালী, বনগ্রাম,পাশর্ডাঙ্গা, জগন্নাথপুর, কুয়াবাসী ও খতবাড়ি গ্রামের মৎস্যজীবিরা এই মানববন্ধন করেন। 

মৎস্যজীবিদের অভিযোগ উপজেলার ডিকশি বিলের পার্ট-১ ও পার্ট-২ প্রভাবশালীদের ইজারা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে পাশর্^ডাঙ্গা গ্রামের হাবিব ও তার ছেলে শাহিদুল একই নামের দু’টি মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি। তারা ডিকশি বিলের ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে চারজন ব্যক্তির কাছে সাব ইজারা প্রদান করেছেন। সাব ইজারাদাররা বিলপাড়ের প্রকৃত মৎস্যজীবিদের কাছ থেকে ৩০/৪০ হাজার টাকা করে আদায় করে বিলে মাছ ধরতে দিচ্ছে। এছাড়া  ১নং পর্টের ইজারা নিয়েছেন এলাকার প্রভাবশালী জোতদার হায়াত আলী প্রাং। তিনিও সাব লীজ দিয়েছেন। বিলপাড়ের ৩ শতাধিক মৎস্যজীবি ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থায় প্রভাবশালী জোতদারের নামে ইজারা বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে ইজারা প্রদানের দাবি জানান মানববন্ধনে আসা মৎস্যজীবিরা। 

মানববন্ধন শেষে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে অভিযোগপত্র দখিল করেন।

অভিযুক্ত হায়াত আলী প্রাং বলেন,আমরা সরকারি বিধি মোতাবেক ইজারা গ্রহণ করেছি। ইজারা নেওয়ার পর সমিতির সদস্যরাই বিল রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। কারো কাছে কোন প্রকার সাব ইজারা দেওয়া হয়নি। তিনি দাবি করে বলেন,আমার সমিতির সকল সদস্যই কার্ডধারী প্রকৃত মৎস্যজীবি। তিনি বিলে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বন্ধে প্রশাসনের হম্বক্ষেপ কামনা করেন।  
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আঃ মতিন বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। এই বিল জেলা থেকে ইজারা দেওয়া হয়। মৎস্যজীবিদের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট আবেদন করতে হবে। তিনি বলেন বিলে নিষিদ চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বন্ধে আমরা প্রতি সপ্তাহেই অভিযান পরিচালনা করছি।  

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image