
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা নাটকীয়তা আর জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগেই বুধবার (০৯ আগস্ট) রাতেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এর আগে প্রেসিডেন্টের কাছে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্ট বিলুপ্তির ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে, জাতীয় পরিষদ মেয়াদ পূর্ণ করলে ৯০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধানও রয়েছে।
এদিকে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে কারাবন্দি পিটিআই নেতা ইমরান খানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে। তাই দেশটির মানুষ বলছে, ইমরান খানকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের আয়োজন প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে পুরো প্রক্রিয়াকে।
এরই মধ্যে তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ইসলামাবাদ আদালত। আর কারাবন্দি এই পিটিআই নেতাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় আসন্ন নির্বাচনে ইমরান খানের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, পার্লামেন্টে বিদায়ী ভাষণে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এসময়, ৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ১৬ মাস প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা সবচেে কঠিন ছিল বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে আগের সর ব্যর্থতা ও অবহেলার দায় নিয়েই দেশ পরিচালনা করতে হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
এর আগে, বুধবার স্থানীয় সময় সকালে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানানোর ঘোষণা দেন শাহবাজ শরিফ। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতা রাজা রিয়াজের সঙ্গে আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: