নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কল্যাণে এমন একটি আইন প্রণয়ন করছেন, যে আইনে কোন কর্মকর্তার টেবিলে ফাইল পড়ে থাকলে সেবা প্রার্থীর ক্ষতি হলে সেই কর্মকর্তার কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে ওই টাকা সেবাপ্রার্থীকে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসক মোঃ আনিসুর রহমান।
রোববার (০৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য এই আইন করে দিয়েছেন। শুধু বিধিমালা বাকী আছে। ইনশাআল্লাহ এটাও হয়ে যাবে। সেবার ক্ষেত্রে টাইম থাকবে। টাইমলি ফাইল নিষ্পত্তি না করলে সেবা প্রার্থীর যে ক্ষতি হবে সেই টাকাটা তার পকেট থেকেই দিতে হবে।
জনগণের সেবার ক্ষেত্রে কঠোর হবো জানিয়ে নবাগত এ জেলা প্রশাসক বলেন, পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারীর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন আস্থার জায়গা তৈরি করতে চায়। আমরা সেবাকে সেই জায়গা থেকে দেখতে চাই। আমরা বলি না, আমরা শুদ্ধ হয়ে গেছি। কিন্তু শুদ্ধ হওয়ার নিরন্তর চেষ্টা ও আন্তরিকতা আছে। আমাদের ইতিবাচক একটা কর্মকান্ড মানুষের জন্য স্বস্তি নিয়ে আসতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বহু জায়গায় প্রান্তিক পর্যায়ের একটা ছোট অন্যায়ও মিডিয়ার কল্যাণে জাতীয় দৃষ্টি আকর্ষণে চলে আসতেছে। আপনারা জানেন, মাঠ পর্যায়ের সকল দপ্তরের সমন্বয়কারী জেলা প্রশাসন সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে কাজ করে থাকে। সাংবাদিকরা সব সময় শুধু নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করে। অবশ্য এটার একটা কারণও আছে। নেতিবাচকের দিকে শ্রোতা-দর্শকদের আকর্ষণটা বেশি। আমরা বলবো, সরকারের ইতিবাচক অনেক কাজ রয়েছে। সেই কাজগুলো মানুষের সামনে নিয়ে আসবেন। নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ অনেকের জন্য আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। আমি সত্যকে খুব পছন্দ করি। সত্য কথা শুনতে চাই। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী সত্যিই খারাপ করলে, সত্য কথাটা বলবেন। ভালো করলে সেটাও বলবেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ধাপ ২০৪১ সালের মধ্যে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এখানে যাওয়ার জন্য মিডিয়ার বড় দায়িত্বশীল রোল থাকতে হবে। আমলা-সাংবাদিকরা মিলে কাজ করলে এটা অনেক সহজ হবে। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জেলা প্রশাসক।
সরকারী মালিকানাধীন বেদখল হওয়া ভূমি উদ্ধার প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, বেদখল ভূমি উদ্ধার প্রক্রিয়া প্রয়োজনে আরও জোরদার করা হবে। সরকারি স্বার্থের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়। এতে শ্লথ বা বিলম্বিত হওয়ার সুযোগ নেই।
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাফিজুর রহমান, দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মোঃ আমিনুল ইসলাম, পুরান ঢাকা প্রতিনিধি কাওসার মাহমুদ, ঢাকা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ এইচ এম আমিন, বাংলা রিপোর্টের সিনিয়র রিপোর্টার শাহ আলম, একুশে সংবাদ.কম'র স্টাফ রিপোর্টার রাফিকুল ইসলাম রাফি, ঢাকা নিউজ ২৪.কম'র স্টাফ রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম সানি ও ঢাকা কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস
আপনার মতামত লিখুন: