• ঢাকা
  • রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

খাদিজার জামিনের পরও মুক্তিতে বিলম্ব, ব্যাখ্যার নির্দেশ 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৫৮ পিএম
খাদিজার জামিনের পরও মুক্তিতে বিলম্ব, ব্যাখ্যার নির্দেশ 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা

নিউজ ডেস্ক : কারাগার থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তি পেতে বিলম্ব হয়েছে - এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে ব্যাখ্যা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনলে  সোমবার (২০ নভেম্বর)  এ নির্দেশ দেন আদালত। 

গত বৃহস্পতিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় জামিন আদেশ পান খাদিজাতুল কুবরা। রোববার তার জামিনের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। পরে আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা। গ্রেপ্তারের এক বছর দুই মাস ২৪ দিন পর তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হলেন।

খাদিজার মুক্তির জন্য রোববার সারাদিন তার পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু রাত ১১টা পর্যন্ত খাদিজা মুক্তি না পাওয়ায় তাকে ছাড়াই তারা ফিরে যান।

সোমবার সকাল ৯টায় কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে খাদিজা মুক্তি পান বলে জানান তার বোন সিরাজুম মনিরা। তিনি বলেন, ‘খুব সকালে আমরা কারাগারে আসি। তারপর সকাল ৯টায় খাদিজাকে মুক্তি দেয়। খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু আজ থেকে। এজন্যই খুব সকালে আসা। চেষ্টা করব যেন এ্যাটেন্ড করা যায়।’

খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে খাদিজাকে মুক্তি দেওয়া উচিত ছিল। তাকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। এটা সুস্পষ্ট আদালত অবমাননা।’

জানা যায়, সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর দেলোয়ার তাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজগুলোতে উল্লিখিত ভিডিওগুলো আপলোড করে বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা তাদের মিথ্যা তথ্যপূর্ণ আলোচনা ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচার করে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে তাদের সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন করছে। এটা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারার অপরাধ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

২০২২ সালে এই দুই মামলায় আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ। পরে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর সঞ্চালক খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মেজর দেলোয়ার এখনও বিদেশে অবস্থান করছেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কে এন

আরো পড়ুন

banner image
banner image