• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

জলঢাকা পৌর সভা 'ক" শ্রেনীতে উন্নীত 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৪৪ পিএম
জলঢাকা
পৌর সভা 'ক" শ্রেনীতে উন্নীত 

জলঢাকা প্রতিনিধি, নীলফামারী : নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভাকে খ শ্রেনী থেকে "ক' শ্রেনীতে উন্নতি করেছে সরকার।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের ৩১ মে'২০১১ ইং তারিখের  জারীকৃত এক পরিপত্রের মাধ্যমে গত ১৭ সেপ্টেম্বর '২৩ ইং তারিখে রাষ্ট্রপতির  আদেশ ক্রমে উপ সচিব আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভাকে "খ' শ্রেনী থেকে "ক' শ্রেনীতে উন্নীত করা হলো এবং এ আদেশ টি অবিলম্বে কার্যকর হবে ঘোষনা দেন।

২০০০সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জলঢাকা সদর ইউনিয়ন কে পৌরসভায় রুপান্তর করে ঘোষনা করেন| ২০০১ সালের ৮ জুলাই তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার উপজেলার জলঢাকা সদর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড ও ১০৮টি পাড়া মহল্লার ২৮.২২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে ৮২,৩৮৫ জন জনসংখ্যা ও ২৭.৪৩২জন ভোটার  নিয়ে ৩য় শ্রেনীর পৌরসভা গঠন করে এবং পৌর সভার  কার্যক্রম এর শুভ সুচনা করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী জিল্লুর রহমান| সেই সময় সরকার জলঢাকা সদর ইউপির মেয়াদ শেষ হওয়ার ২মাস ১৪ দিন আগে পৌর সভায় উন্নীত করে তৎকালীন  জলঢাকার ইউ এন ও কে প্রথম প্রশাসক নিয়োগ দেন|২০০২ সালে পৌর সভার প্রথম নির্বাচনে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন বি এন পি নেতা  কবির চৌধুরী| ২য় বারেও তিনি মেয়র হন| 

পরে তিনি মৃত্যু বরন করলে উপ নির্বাচনে বাবলু মেয়র হন| পরের নির্বাচনে মেয়র হন কমেট চৌঃ। এদিকে মেয়র বাবলুর সময়ে ২০১৩ সালের ১১জুন পৌর সভাটি ২য় শ্রেনীতে উন্নীত করে সরকার।  এটি জলঢাকা বাসীর আন্দোলনের ফসল। পৌর সভার  সর্বশেষ নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয় অর্জন করেন ইলিয়াস হোসেন বাবলু। তিনি নির্বাচিত হওয়ায় পরে বলেন এ-ই পৌর সভাকে একটি আধুনিক ও মডেল স্মার্ট পৌরসভায় রুপান্তর করা সহ প্রথম শ্রেনীতে উন্নিত করাই হবে আমার কাজ হবে বলে ঘোসনা দিয়েছিলেন এবং  পৌর সভার   সকল নাগরিক  সুযোগ সুবিধা ও সেবা সমুহ  জনগনের কাছে পৌছে  দিব।এদিকে পৌর বাসীর দাবী পরিস্কার  শহর সহ উন্নয়ন ও নাগরিক  সুযোগ বৃদ্ধির দাবী জানায়। পৌর পরিষদ কর্তৃক জনসেবা নিশ্চিত এর লক্ষ্যে সিটিজেন চার্টার প্রস্তুত করতঃ নোটিশ বোর্ডসহ উন্মুক্ত জায়গায় টানানো রয়েছে। তথ্য অধিকার অইন – ২০০৯ অনুযায়ী পৌরবাসীর তথ্য সেবা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পৌর কার্যালয়ের একটি কক্ষে তথ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে  ।     

এ বিষয়ে পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু  বলেন, আমি মানুষের ভালোবাসা  পেয়ে  দ্বিতীয় বারের মতো নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। পৌরবাসীর ভালোবাসা ও সহযোগিতা  নিয়ে  আমি  আগামী দিনগুলো  এগিয়ে যেতে চাই। তাই আমি জলঢাকা পৌরসভাকে আধুনিক ও মডেল  স্মার্ট পৌরসভা হিসাবে গড়ে তুলতে সরকার সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।তিনি আরো বলেন নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত এ পৌর সভায় যখন প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হয়ে  দায়িত্ব নিয়েছিলাম  তখন থেকেই জলঢাকা পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি, ও "গ ' শ্রেনী থেকে  "খ' শ্রেনীতে উন্নীত করা সহ অনেক উন্নয়ন কাজ করেছি, এবং  বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহন করেছিলাম। এবার নির্বাচিত হওযার পর থেকে  চেষ্টা করেছি  " ক' শ্রেনীতে উন্নীত করা সহ আধুনিক ও মডেল পৌরসভা নির্মাণ করতে ।  

কিন্তু আমি বলতে চাই আধুনিক হোক আর ডিজিটাল হোক সবধরনের নাগরিক সুবিধা সহ  দুর্নীতি,মাদক,বাল্য বিবাহ ও যানজট  মুক্ত একটি পৌরসভা গড়ে তোলাই হবে হবে আমার প্রথম ও প্রধান কাজ। এজন্য সরকার সহ সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। 

এ প্রতিনিধির সাথে  আলাপ কালে  উপরোক্ত  কথা গুলো  বলেন,নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু। তিনি তার বর্তমান সময়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আরো বলেন, নির্বাচনের আগে মেয়র প্রার্থীরা অনেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকি। আর ভোটে নির্বাচিত হলে ও না হলে  জনগনের সাথে দেখা তো দূরের কথা খবর পর্যন্ত নেই না। সেই কালচার থেকে বেরিয়ে এসে জনগনের সাথে  থাকতে চাই।এ-র আগে মানুষ মেয়রের সাক্ষাৎ, একটি স্বাক্ষর ও নাগরিক সুবিধার জন্য এসে অপেক্ষা করতে হত  দিনের পর দিন।আমি জনগণের  সেই  কষ্ট  দুর করে  নাগরিক সুযোগ  সুবিধা সহ আধুনিক পরিচ্ছন্ন  ও মডেল পৌরসভা গড়ে তুলতে কাজ শুরু করেছি। 
মেয়র বাবলু বলেন,আমি স্কুল জীবন থেকেই মাদক ও জুয়ার কিরুদ্ধে ছিলাম আছি ও থাকবো ।  ২০১১ সালে আমি প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পৌরসভাকে খ শ্রেণিতে উন্নীত করেছি। পৌরশহরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও জনগনের চলাচলে  ফুটপাত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ অব্যাহত থাকবে।  

বর্তমানে তিনি জলঢাকা উপজেলা বনিক সমিতি ও বাজার কেন্দ্রীয়  মসজিদের  সভাপতি ও জেলা  বাস মালিক সমিতির সহ সভাপতি। 

ইলিয়াস হোসেন বাবলু  মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে  জলঢাকা উপজেলা আ’লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম  মোশাররফ হোসেনের ২য় পুত্র। তার ভাই  মুক্তি যোদ্ধা  সংসদ পৌর শাখার কমান্ডার তিনি নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত  মানুষের  সুখে দুঃখে  পাশে থেকে ২০১১ সালের নির্বাচনে  স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে প্রথম মেয়র নির্বাচিত  হয়েছিলেন এবং তখন থেকে তার পথে চলা ।  

সর্বশেষ  ২০২১ সালের পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন ইলিয়াস হোসেন বাবলু  । এবং   মেয়র হিসেবে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে শপথ গ্রহন করে ২৫ ফেব্রুয়ারী মেয়রের  দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 

জলঢাকা পৌর সভার উন্নয়নকে ঘিরে যার সদা-সর্বদা ছুটে চলা এবং স্বীয় ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পৌর সভা ক শ্রেনীতে উন্নতি  করা হলো এ বিষয়ে পৌর মেয়র  মোঃ ইলিয়াস হোসেন (বাবলু) সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে  বলেন  গণপ্রজাতন্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্রী শেখ হাসিনার৷ উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে তার হাত ধরে নীলফামারী জেলার জলঢাকা পৌরসভা কে “খ” শ্রেণী হতে “ক” শ্রেণীর পৌরসভায় উন্নীত করা হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image