• ঢাকা
  • রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সাক্ষী প্রমাণের অভাবে মাদক ব্যবসায়ীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০৯ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৫৯ পিএম
সাক্ষী প্রমাণের অভাবে মাদক ব্যবসায়ীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

ডেস্ক রিপোর্টার : জেলখানায় থাকা কয়েদিদের ৬০ শতাংশের কাছাকাছি মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী। সাক্ষী প্রমাণের অভাবে মাদক ব্যবসায়ীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। ছাড়া পেয়ে আরো বেশি করে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে।

শনিবার (৮ জুলাই) সকালে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের আলমপুরে আন্তর্জাতিকমানের স্পেশালাইজড মাদকাসক্তি ও মানসিক হাসপাতাল “আহ্ছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্র” উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, আমরা যদি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই, তাহলে যুব সমাজকে এই মরণ নেশা থেকে বাঁচাতে হবে। সেজন্য জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা চাই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি পৃথিবীর বহু দেশ ঘুরেছি। প্রাথমিকভাবে ইউরোপের খুব ভয়ংকর অবস্থা ছিল। কিন্তু তারাও আজ ভালো অবস্থানে চলে এসেছে। আমি জানি বাংলাদেশ এখনো সেই পর্যায়ে যায়নি। আমাদের ৭০-৮০ লাখ মানুষ হয়ত মাদকদ্রব্য ব্যবহার করেছে। সে তুলনায় হাসপাতাল (মাদক নিরাময় কেন্দ্র) খুবই অপ্রতুল। তবু আমরা শুরু করেছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। মিয়ানমার সীমান্ত সুরক্ষিত করতে কাজ অব্যাহত রয়েছে। বিজিবিকে শক্তিশালী করা হয়েছে। সীমান্তে যোগাযোগের জন্য হেলিকপ্টার কেনা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা, বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সিগঞ্জ কাজী নাহিদ রসুল এবং পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল-মামুন, বিপিএম, পিপিএম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের আবাসিক মনোচিকিৎসক ড. মো. রাহেনুল ইসলাম, হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন মো: সুলাইমান খান, শ্রীনগর উপজেলা চেয়ারম্যন মো. মশিউর রহমান মামুন, আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের ইয়ানা জামান ও অভিভাবক রেবেকা জামান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।  

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠিত মনোযত্ন কেন্দ্র মাদক নির্ভরশীল ও মানসিক রোগীদের বহুমুখী বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা প্রদান করবে। পাঁচ তলাবিশিষ্ট কেন্দ্রটিতে রয়েছে ৫০টি বেড, খোলামেলা পরিবেশ, কেবিন, ডিল্যাক্স শয্যা, এ্যসিসমেন্ট, একক ও গ্রুপ কাউন্সিলিং সুবিধা, মেডিটেশন, কেস ম্যনেজমেন্ট, লাইব্রেরি, শরীর চর্চার জন্য জিম, ধর্ম চর্চার ব্যবস্থা, এ্যম্বুলেন্স, পারিবারিক কর্মসূচি, চিকিৎসা পরবর্তী ফলো আপসুবিধা।

এছাড়া ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালিত পাশ্ববর্তী হেনা আহমেদ হাসপাতাল থেকে এক্স-রে, অত্যাধুনিক সব ডায়াগনস্টিক, আল্ট্রাসনোগ্রাম, আধুনিকমানের অপারেশন থিয়েটারও জরুরি চিকিৎসা সেবার সুবিধাও রাখা হয়েছে। 

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের আওতায় ১৯৯০ সাল থেকে মাদক বিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং বর্তমান নারীসহ চারটি চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে মাদক নির্ভরশীল ও মানসিক রোগের চিকিৎসার সেবা প্রদান করছে এবং জাতীয় পর্যায়ে একাধিকবার পুরস্কার অর্জন করেছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image