• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কিয়েভে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৫৩ এএম
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এ ধরনের বৈঠক হলো
ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ মেয়াদে ইউক্রেনকে সহযোগিতা দিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এক বৈঠকে মিলিত হন ইইউ জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এই প্রথম জোটভুক্ত দেশগুলোর বাইরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এ ধরনের বৈঠক হলো।

এমন সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো, যখন ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া নিয়ে ইইউর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে কিয়েভের পাল্টা আক্রমণের সাফল্যও সীমিত।

ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা ইইউর সদস্যদেশ, সদস্য প্রার্থী ও ভবিষ্যৎ সদস্যদের নিয়ে ইউক্রেনে বৈঠকে বসছি। বৈঠকের উদ্দেশ্য ইউক্রেনের জনগণের প্রতি আমাদের সংহতি ও সমর্থন জানানো। বৈঠকে সুনির্দিষ্ট ও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর লক্ষ্য নেই ।

বৈঠককে ইউরোপীয় সমর্থনের গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। বোরেলের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্রবিষয়ক পর্ষদ তার বর্তমান সীমানার বাইরে তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমানার বাইরে, কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ সীমানার মধ্যে বৈঠকে বসছে।

চলমান যুদ্ধের ১৯ মাস ধরে ইউক্রেনের সমর্থনে ইইউর ২৭ সদস্য ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। রাশিয়ার ওপর ১১ দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি কিয়েভকে অস্ত্রসহায়তা প্রদানে কয়েক শ কোটি ইউরো ব্যয় করছে।

তবে কিয়েভের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়ে জোটে বিভক্তি দেখা দেওয়ার শঙ্কা ক্রমে বাড়ছে। একই সঙ্গে কিয়েভের মূল পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

স্লোভাকিয়ার জনতুষ্টিবাদী নেতা রোবের্ত ফিচোর দল দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এখন ইইউর সমর্থনে লাগাম টানতে সঙ্গী পাবেন রাশিয়ার মিত্র হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান।

কিয়েভ ও এর সবচেয়ে কড়া সমর্থক পোল্যান্ডের মধ্যেও টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনীয় শস্য দেশটির বাজার দখল করে নিলে বিধিনিষেধ আরোপ করে ওয়ারশ। এতে আপত্তি জানায় কিয়েভ।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথেরিন কোলনার বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জোটের যে অঙ্গীকার, এই বৈঠক মস্কোর প্রতি সেই বার্তাই দিচ্ছে। ইউক্রেনের প্রতি আমাদের দৃঢ় ও স্থায়ী সমর্থনেরই রমাণ, যতক্ষণ না যুদ্ধে দেশটি বিজয়ী হয়। এটি রাশিয়ার কাছেও বার্তা, যাতে দেশটি আমাদের ক্লান্তির ওপর ভরসা না করে। আমরা সামনে দীর্ঘ সময়ের জন্য এখানে থাকব।

রাশিয়া মনে করছে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমাদের ক্লান্তি বাড়বে। ইউক্রেনের জন্য নতুন তহবিল ছাড়াই সপ্তাহান্তে মার্কিন কংগ্রেসে সরকারের অর্থায়ন বিল পাস হয়। ওয়াশিংটন ও কিয়েভের সম্পর্ক নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। বিলে ইউক্রেনের জন্য নতুন তহবিল রাখার বিরোধিতা করেন কট্টরপন্থী রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যরা।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এই সংঘাত নিয়ে ক্লান্তি, কিয়েভ সরকারকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক পৃষ্ঠপোষকতা থেকে ক্লান্তি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে বাড়বেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে এখনই সেনা পাঠাবে না যুক্তরাজ্য। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ইউক্রেনে ব্রিটিশ সামরিক প্রশিক্ষক মোতায়েনের কোনো আশু পরিকল্পনা তাঁর সরকারের নেই।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image