আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই এশিয়ায় জ্বালানি রফতানির বিকল্প বাজার খুঁজে পেয়েছে রাশিয়া। মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া ও এশিয়ার দেশগুলোর জন্য।
এশিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে মস্কোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞায় শামিল হয় ৩৭টি দেশ। জ্বালানি, প্রযুক্তি, পরিবহন ও আর্থিক খাতসহ রাশিয়ার অর্থনীতির প্রধান দশটি খাতকে টার্গেট করে দেয়া হয় এই নিষেধাজ্ঞা।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর এক বছর পরও মস্কোর ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব খুব একটা দৃশ্যমান নয়। বরং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা একটি শক্তিশালী পাল্টা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। এতে নতুন প্রাণ সঞ্চার হয়েছে এশিয়ার অর্থনীতিতে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে রাশিয়ার অর্থনীতিকে মূলত ভাসিয়ে রেখেছে চীন, ভারত, তুরস্কের পাশাপাশি উপসাগরীয় ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলো। এই অর্থনৈতিক লেনদেন আবার সমৃদ্ধ হচ্ছে এসব দেশের অর্থনীতি। এশিয়ার দেশগুলো এখন একই সঙ্গে রুশ পণ্যের রফতানি গন্তব্য এবং একই সঙ্গে আমদানির উৎস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের শেষের দিকেও ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়া থেকে দিনে ১৩ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করতো। ওই সময় এশিয়ার দেশগুলো রাশিয়া থেকে আমদানি করতো ১২ লাখ ব্যারেল তেল। তবে ২০২৩ সালের শুরুতে রাশিয়া থেকে ইউরোপের তেল কেনার পরিমাণ নেমে আসে দৈনিক ১ লাখ ব্যারেলের নিচে। বিপরীতে এশিয়ার বাজারে রাশিয়ার তেল বিক্রি উন্নীত হয় ২৮ লাখ ব্যারেলে।
পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমা কোম্পানিগুলো সরে আসায় রাশিয়ার বাজারে সেই শূন্যতা এখন পূরণ করেছে এশীয় রফতানিকারকরা। সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী চীনের কোম্পানিগুলো।
রাশিয়ার গাড়ির বাজারের ৪০ শতাংশ ও স্মার্টফোনের ৭০ শতাংশ বাজার দখল করে নিয়েছে তারা। ২০২৩ সালে চীন-রাশিয়ার বাণিজ্য ২৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই রাশিয়ার বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারতের সঙ্গে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মস্কো দিল্লির মধ্যে বাণিজ্য ২০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলারে।
পিছিয়ে নেই মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোও। একই সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য বেড়েছে যথাক্রমে ৬৮ শতাংশ ও ৮৭ শতাংশ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: