নিউজ ডেস্ক: চার মাস পরীক্ষামূলক ইলেক্ট্রনিক ডেলিভারি অর্ডার (ই-ডিও) ইস্যু কার্যক্রমের পর এবার শতভাগ ই-ডিও কার্যক্রমে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অটোমেশনে নিতে গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৬টি শিপিং এজেন্টসকে দিয়ে পরীক্ষামূলক ই-ডিও ইস্যু কার্যক্রম শুরু করেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কনটেইনার শিপিং এসোসিয়েশন, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন ও ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে বন্দরের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বন্দরের সকল স্টেকহোল্ডার ই-ডিও চালুর ব্যাপারে মত প্রকাশ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১ এপ্রিল শুক্রবার থেকে শতভাগ ইডিও চালু করছে চট্টগ্রাম বন্দর।
বন্দরের চালু করা অনলাইনভিত্তিক টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেম (টিওএস) প্ল্যাটফর্মে ই-ডিও কার্যক্রম চালুর জন্য শিপিং ও সিএন্ডএফ এজেন্টস, ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডার্সসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক সেই ই-ডিও কার্যক্রম চালুর পর পর্যায়ক্রমে এবার মেন্যুয়াল ডিও বাতিল করে পুরোদেম ই-ডিও কার্যক্রমে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের ডেলিভারি কার্যক্রম।
ই-ডিও কার্যক্রম পুরোদমে চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কাজে ব্যাপক গতি আসবে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, এখন মেন্যুয়াল পদ্ধতিতে কাগজ কলমে ডেলিভারি অর্ডার নিতে হলে সিএন্ডএফ এজেন্টদের শিপিং ও ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডারদের অফিসে যেতে হয়। সময় নিয়ে লাইন ধরে সব কাগজপত্র যাচাই করিয়ে তারপর ডিও নিতে হয়। এছাড়া সপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্র/শনিবারসহ অন্যন্য ছুটির দিন ডিও নিতে গেলে আরো ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এসব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে পুরোদমে ই-ডিও চালু হলে। কারণ ই-ডিও চালু হলে আর অফিসে গিয়ে ভিড় করতে হবে না। বাসায় বসেও ২৪ ঘণ্টা এই কার্যক্রম চালু রাখা যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুরোদমে অটোমেশনে নিয়ে যাওয়া পরিকল্পনা আছে। সেটি বাস্তবায়ন করতে ধাপে ধাপে বিভিন্ন কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করা হচ্ছে। এর আগে বন্দরে প্রবেশ করা গাড়ির অনুমোদিত অনলাইনভিত্তিক করা হয়েছে। পরবর্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে শিপিং এজেন্ট ও ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডারদের ডিও অনলাইন করা হয়েছে। এবার পুরোদেশে ইডিও চালু করার সময় এসেছে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর একটি অনলাইভিত্তিক প্লাটফর্ম চালু করেছে। যেটি টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেম (টিওএস) নামে পরিচিত। এই প্লাটফর্মে বন্দরের অভ্যন্তরীণ আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রমকে একটি জায়গায় আনা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সফটওয়ার এসাইকুডা ওয়ার্ড সিস্টেমকে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে বন্দরের কার্যক্রমের সাথে শুল্কায়ন কার্যক্রমও সহজ হয়ে যাবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: