নুরনবী সরকার, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মসজিদ সংস্কার নিয়ে সংঘর্ষে আহত মসজিদ কমিটির সভাপতি অলিয়ার রহমানের (৭০) মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত সভাপতি অলিয়ার রহমান উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উফারমারা বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি ছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলার উফারমারা বায়তুল আমান জামে মসজিদটি টিনশেট ঘরে চলছিল। তা সংস্কার করে পাকা করনের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করে মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসী। সবার দানে ইতোমধ্যে পাকা করনের কাজ শুরু হয়। নতুন মসজিদ নির্মাণের জন্য পুরাতন টিনশেড ঘরটি গত ২১ ডিসেম্বর সড়ানো শুরু করেন শ্রমিকরা। এ সময় ওই গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য হামিদুল ইসলাম ও তার ভাই ফরিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম কাজে বাঁধা দেন। বাঁধা দানের কারন জানতে গেলে মসজিদ কমিটির সভাপতি অলিয়ার রহমানের সাথে তাদের বিতর্ক সৃষ্ঠি হয়।
এর এক পর্যয়ে সেনা সদস্য হামিদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতির উপর লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তাকে বাঁচাতে তার ছেলে আবু আলম ও শাহা আলম এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারপিট করে। স্থানীয়রা এসে তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য অলিয়ার রহমান ও তার ছেলে আবু আলমকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে টানা এক সপ্তাহ চিকিৎসাধিন থেকে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে মারা যান সভাপতি অলিয়ার রহমান।
এ ঘটনায় ২১ডিসেম্বর সভাপতি অলিয়ার রহমানের ছেলে শাহা আলম বাদি হয়ে হামিদুলসহ ৯জনের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ ওই দিন রাতেই হামিদুলের স্ত্রী আঞ্জু বেগমকে গ্রেফতার করে। অপর অভিযুক্তদের মধ্যে ৭জন মঙ্গলবার(২৮ ডিসেম্বর) আদালতে আত্নসমাপন করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ঘটনার দিনেই মামলা নিয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধিন অলিয়ার রহমান মারা গেছেন। এ দিনই ৭জন আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের সকলের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: