আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সোমবার (৩০ মে) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করবেন। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ও ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের আলাপের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, এ বৈঠক পূর্বপরিকল্পিত। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট গত রোববার (২৯ মে) দিনের প্রথমভাগে ঘোষণা করেন, তিনি সোমবার ফোনে পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন।
তুরস্কের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আলোচনার টেবিলে নিতে দুই নেতাকে টেলিফোন করবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
রাশিয়া-ইউক্রেন বড় সংঘাতের সময়ে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। তারা সামরিক সংঘাতসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন।
ন্যাটো সদস্য তুরস্কের রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর থেকে তুরস্ক বিবদমান দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৭ মে) ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের এরদোগান বলেছিলেন, আমরা পুনরায় পুতিন এবং জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করেছি। এটা একই দিন কিংবা ভিন্ন ভিন্ন দিন হতে পারে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, "আমি আজ রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলব। আমরা দুই পক্ষকে সংলাপ ও কূটনীতির চ্যানেল রক্ষা করার জন্য উৎসাহ দেয়া অব্যাহত রাখব।”
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। তখন থেকে তুরস্ক মোটামুটিভাবে এই সংঘাতের ব্যাপারে নিরপেক্ষ অবস্থানে আছে।
তুর্কি সরকার রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে; কিন্তু মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় শামিল হতে রাজি হয়নি। এর বিপরীতে সংকট নিরসনের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের চেষ্টা করে আসছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: