• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০১ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

আটকে থাকা বকেয়া আয় দ্রুত ফেরত আনতে হবে: বাংলাদেশ ব্যাংক


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:১৪ এএম
এবিবি নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত
bb logo

উজ ডেস্ক:   পণ্য রপ্তানি হলেও নির্ধারিত সময়ে দেশে আসেনি রপ্তানি আয় । আটকে থাকা এসব বকেয়া আয় দ্রুত দেশে নিয়ে আসতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার । বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশ( এবিবি) নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক ।

বৈঠকে বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, হুন্ডি প্রতিরোধ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব, ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি, সিআইবি তথ্য হালনাগাদ, খেলাপি ঋণের উচ্চ হার ও সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় ।

বৈঠকে এবিবি নেতারা ছাড়াও ডলারের বিনিময় হার র্নিধারণে নীতি না মানায় যে দশ ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক; ঐসব ব্যাংকের কয়েকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকরাও উপস্থিত ছিলেন ।

বৈঠক শেষে এবিবি চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আরএফ হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, গভর্নর বিশ্বব্যাংক- আইএমএফ- এর বৈঠকে যোগ দিতে মরক্কো গিয়েছিলেন । সেখান থেকে ফেরত আসার পর মিটিংয়ে আলোচনার বিষয় ও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন । আমরাও কয়েকটা বিষয় জানালাম ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর( ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী গত ২০২২- ২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে । কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী তারমধ্যে রপ্তানি আয় বাবদ ফেরত এসেছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার । বকেয়া থাকা ৯ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে বেশ কিছু পরিমাণ ডেফার্ড হয়েছে তা ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয় । কিন্তু কী পরিমাণ ডেফার্ড ও কতটুকু রপ্তানি আয় দেশে আসছে না, তার কোনো সঠিক তথ্য জানায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক । কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা ধারণা দিয়ে জানিয়েছেন, না আসা রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৩- ৪ বিলিয়ন ডলার হবে ।

ডেফার্ড মানে হচ্ছে — কোনো রপ্তানি আয় পরিশোধে সময় বাড়িয়ে নেওয়া । এতে মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়া সময়ের জন্য সুদ পরিশোধ করেন বিদেশি ক্রেতা ।

চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে আটকা থাকা রপ্তানি আয় দেশে ফেরত নিয়ে আসতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক । কতটুকু দেশে আসতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন অনেক রপ্তানি আয় দেশে আসেনি । ব্যাংকগুলো চেষ্টা করবে যথা সময়ে রপ্তানি আয় দেশে ফেরত নিয়ে আসতে । গভর্নরও আহ্বান জানিয়েছেন তা ফেরত আনতে ।

ব্যাংকের চেয়ে খোলা বাজারে ও হুন্ডিতে ডলারের দর অনেক বেশি । তা সমন্বয় করা ও বাজারভিত্তিক বিনিময় হার এর অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, বছরে ৩০ থেকে ৪০ মিলিয়ন ডলার হাত বদল হয় খোলা বাজারে । তার ওপর নির্ভর করে ব্যাংকের ডলারের দর ঠিক করা যায় না । যারা অর্থপাচার করেন, হুন্ডি করেন যে দরেই পাবেন তারা ডলার কিনবেন । আমরা ব্যাংকে ডলার ১৩০ টাকা করি দেখা যাবে, হুন্ডিওয়ালারা ১৪০ টাকা — ১৫০ টাকা দেবে । তাদের তো টাকা বিষয় না, সবই ব্ল্যাক মানি । যারা বিদেশে টাকা পাচার করেন, তাদের কাছে বিনিময় হার কোনো বিষয় নয়, যে কোনো মূল্যে তারা তা করবেন । হুন্ডির সাথে রেট মেলানোর কিছু নেই । এটা

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে থাকা ব্যাংকগুলোর ঋণ তথ্য ভাণ্ডার ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো( সিআইবি) হালনাগাদ ও ব্যাংকের শাখা পর্যায় থেকে তথ্য সরাসরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে কিছু সমস্যা তুলে ধরা হয় বৈঠকে ।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image