মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি, বরিশাল : বাকেরগঞ্জ উপজেলার খুব নিকটে বাকেরগঞ্জ উপজেলার সদরের খুব সন্নিকটে থেকেও যেন দুর অজপাড়া গাও মনে হয়। এক কিলোমিটার কাচা রাস্তাই যেন গ্রামটির জনসাধারণকে স্মার্ট সুযোগ সুবিধা থেকে পিছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
গারুরিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের হেলেঞ্চা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে মহুরি বাড়ী রাস্তার মাথা পর্যন্ত মাটির এই রাস্তাটি এখন সংশ্লিষ্ট গ্রাম সহ আশপাশের ৪/৫ টি গ্রামের মানুষের বিষফোড়া। হেলেঞ্চা গ্রামের এই এক কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এই পথে চলাচল কারী পথচারী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত রাস্তাটি পাকা করা হোক। সরেজমিনে দেখা গেছে, হেলেঞ্চা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে দক্ষিণ দিক মহুরি বাড়ী পর্যন্ত জরাজীর্ণ এই মাটির রাস্তাটি দিয়া পথচারীরা দুর্ভোগ নিয়ে চলাফেরা করছেন। এক কিলোমিটার এই রাস্তাটি দৈনিক ২০০টি পরিবারের প্রায় ৮০০ লোকের উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।
এলাকার অধিকাংশ পরিবারই কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। চলতি বর্ষা মৌসুমে এলাকাবাসীর একমাত্র চলাচলের এই রাস্তাটি কাদায় পরিপূর্ণ হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জরুরি প্রয়োজনে অসুস্থ রোগী স্থানান্তর, সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছেলে-মেয়েদের বাকেরগঞ্জে সদরে যাতায়াতে পড়তে হয় চরমদূর্ভোগে।
সরেজমিনে এই রাস্তাটির বাস্তব চিত্র দেখতে গেলে কথা হয় হেলেঞ্চা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজামুল হকের সাথে। একান্ত আলাপ কালে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তাটির কারনে কোমলমতি ছাএ- ছাএীদের বিদ্যালয়ে আসতে - যাইতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই রাস্তটি দিয়ে চলাচল করা তো দূরের কথা রোগিদের কোলে করে রাস্তা পার করতে হয়। পাটিকর পাড়ার ব্যবসায়ী দীলিপ কুমার জানান অল্প এই রাস্তাটির জন্য পন্য পরিবহনে নানাবিধ ঝামেলায় পড়তে হয়,যাতায়াত ভারা বেশী হয়।যার প্রভাব দোকানের ক্রেতা সাধারণের উপর পড়ে।
রাস্তার মাটি এঁটেল হওয়ায় বর্ষায় দুর্ভোগ বাড়ে কয়েকগুণ। রাস্তাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে এই অংশ পাকা করতে এলাকা বাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ স্থানীয় সংসদ সদস্যের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: