• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন ৭২ প্রকল্প


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৪৪ পিএম
প্রধানমন্ত্রী ৭২ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন
কক্সবাজার

জাফর আলম, কক্সবাজার প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ০৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার আসছেন। এই ঘোষণা আসার পরপরই পাল্টে গেছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির দৃশ্যপট। একইসঙ্গে সহযোগী অঙ্গসংগঠনগুলোও বেশ চাঙা হয়ে উঠেছে। কারা বেশি লোক জমায়েত করবে, এখন থেকেই চলছে সেই প্রতিযোগিতা।

আগামী ৭ ডিসেম্বরের এই জনসভাকে বৃহৎ রাজনৈতিক সমাবেশে পরিণত করতে চায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলো। সমাবেশ বড় করতে ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীরাও এখন সরব হয়ে উঠেছেন। নিয়মিত মিটিং হচ্ছে বিভিন্ন ওয়ার্ড-থানা কমিটিতে।জানা যায়, ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ ২০২২’ উপলক্ষে ইনানী পাটোয়ারটেক সৈকত থেকে পশ্চিম দিকে সাগরের জলরাশির ওপর দীর্ঘ একটি সেতু তৈরি হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর সকালে সেতুর শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক নৌশক্তি মহড়ার সালাম গ্রহণ এবং তিনদিনের নৌশক্তি প্রদর্শন সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহড়ায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, চীনসহ আমন্ত্রিত ৪১টি দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৬টি দেশ অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। সেদিন বিকেলে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।এদিকে জনসভাকে কেন্দ্র করে সাজসাজ রব বিরাজ করছে জনসভাস্থল ও এর আশপাশের এলাকায়। জনসভাস্থল ছাড়াও আশপাশের এলাকাকে সাজানো হচ্ছে অপরূপ সাজে।কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ব্যাপক খুশি হয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নিতে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাও।

কক্সবাজার ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরন করতে ছাত্রলীগের এক লাখ কর্মী থাকবে। ইতোমধ্যে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছি।এ বিষয়ে কক্সবাজার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, এখন শুধু লক্ষ্য একটাই, জনসভা সফল করা। তিনি বলেন, জেলাবাসী প্রধানমন্ত্রীকে দেখার অপেক্ষায় আছেন। ৭ ডিসেম্বরের জনসভায় কমপক্ষে তিন লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা।

কক্সবাজার আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে এসে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দলীয় জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন কক্সবাজারের উন্নয়নে যেসব প্রতিশ্রুতি (উন্নয়ন প্রকল্প) ঘোষণা দিয়েছিলেন, এখন তার সব কটি দৃশ্যমান।তারমধ্যে- চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ শেষের পথে। 

মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে ৮৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের শুরুতে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। আগামী বছরের অক্টোবর নাগাদ শেষ হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ ১০ হাজার ৭০০ ফুট দৈর্ঘ্যের কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের নির্মাণকাজ। এছাড়া টেকনাফ সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, সোনাদিয়ায় পরিবেশবান্ধব পর্যটনকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল, খুরুশকুলে পাঁচ হাজার জলবায়ু উদ্বাস্তুু জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্ল্যাটবাড়ির বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ৭২টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির পথে। 

প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজারের চেহারা পাল্টে যাবে।তিনি বলেন, সরকারের এই মহাউন্নয়ন এবারের নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। ৭ ডিসেম্বরের দলীয় জনসভা থেকে কক্সবাজারের উন্নয়নে নতুন কিছু ঘোষণা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কক্সবাজারকে যা দিয়েছেন, অতীতে কোনো সরকারের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image