নিউজ ডেস্ক : মঙ্গলবার সন্ধায় নাট্যসভার উদ্যোগে বেইলী রোডের অফিসার্স ক্লাবে শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরনে অধ্যাপক ডাক্তার মনিরুজ্জামান ভুইয়ার সভাপতিত্বে এক স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিকী সাবেক ভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ এফ এম হায়াতউল্লাহ, চেয়ারম্যান বিএডিসি , আহসান উল্লাহ মনি চলচ্চিত্র পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা, উজ্জল বিকাশ দত্ত সাবেক সচিব, মনোজ সেন গুপ্ত বিশিস্ট অভিনেতা ও সংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, তাহমিদ আহমেদ হেড অব প্রোগ্রাম এটিএন নিউজ, পান্না লাল দত্ত গীতিকার ও শিক্ষক নটরডেম কলেজ, পীরজাদা শহীদুল্লাহ হারুন সাবেক অতিরিক্ত সচিব, আসলাম সানি বিশিস্ট কবি ও সংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব। আরও বক্তব্য রাখেন, ডা. বদিউজ্জামান ভুইয়া ডব্লিউ আ'লীগ নেতা, কবি জাহিদুল হক, কন্ঠশিল্পী আবু বকর সিদ্দিক, গোরাঙ্গ দে বিশিষ্ট ব্যবসায়ীসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন, সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পাকিস্তানী শাসক শোষকদের হাতে অসংখ্যবার নির্যাতন ও কারাবন্দী হয়েছেন। তার আহবানে দেশবাসী স্বশত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছে। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণসহ অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি, দেশী বিদেশী চক্রান্তকারী ও উশৃংখল একদল সেনাবাহিনী তাকে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করেছে। তিনি দেশ পরিচালনার দক্ষতার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করছে। আমরা মনে করি বঙ্গবন্ধুর কর্ম, আদর্শ ও দেখিয়ে যাওয়ার পথই বাঙ্গালীর মুক্তি নিহিত।
জনাব হায়াত উল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদেশকে পূনর্গঠনের জন্য কৃষি, শিল্প, শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ফসল বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সাথে পরামর্শ করেন । কৃষি ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করার জন্য বিষেশ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকের জন্য সার, সেচ ও বিদ্যুতের বিষয় সুবিধা প্রদান করছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামকে খুবই ভালোবাসতেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও কাজী নজরুলের জীবন আদর্শে আমরা অনেক মিল/সামঞ্জস্য খুজে পাই । তারা দুজনে বাংলাদেশকে স্বাধীন করা, শোষন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন ।
অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার ও লেখক শহীদুল হক খান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: