• ঢাকা
  • রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

রাজনৈতিক দল গুলোর সর্বাঙ্গে গণতন্র নিশ্চিত করতে হবে 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৫ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৪৩ পিএম
রাজনৈতিক দল গুলোর সর্বাঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে 
গণতন্র

সাইদুর রহমান            
      
মানুষ গণতন্ত্রের দ্বারস্থ হয় গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশ গুলো গণতন্ত্রের মন্তে দীক্ষিত হয়েছে, সেটা প্রশ্নাতীত। প্রশ্নবিদ্ধহীন গণতন্ত্র বিশ্বের কয়টা দেশে আছে? বাংলাদেশের গণতন্র স্বাধীনতার পর থেকেই নিউনেটাল বেবী। পূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশ  বিশ্বে ২০টি। কোন দেশেই শতভাগ ত্রুটিমুক্ত গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের দিনকাল বর্তমানে ভালো যাচ্ছে না। অনেক দেশ গণতন্র থেকে সরে আসতেছে। আওয়ামী লীগ গণতন্রকে সামনে রেখে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে গতিশীলতা দিয়েছে। দেশের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে জনগণ  গণতন্রের সহায়ক মনে করতেছেন। গণতন্রের চেয়ে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন জনগণ। তা না হলে কমেই জন বিস্ফোরণ ঘটতো বা ঘটাতো। 

অধিকাংশ জনগণ মনে করেন অথবা বাস্তবতায় বুঝেন গণতান্ত্রিক অধিকার বলতে শুধু ভোটের অধিকার। রাষ্ট্রে বসবাসরত নাগরিকদের অনেক গুলো গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে ভোট প্রদান অন্যতম অধিকার বলাও অতি রঞ্জিত। গণতান্ত্রিক অধিক হলো, জীবন পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য কিছু নাগরিক সুযোগ ও অধিকার।

বর্তমানে বিএনপি যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সেটা "ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে।" দেশের কি অবস্থা? বিশ্ব পরিস্থিতি কি? পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কি? আন্দোলনে কি জনগণকে সম্পৃক্ত করা যাবে? হাতে সময়ই কতটুকু আছে? নিজেদের সাংগঠনিক অবস্থা কি? তাদের সমমনা দল গুলোর সার্বিক অবস্থা কি? কোন হোম ওয়ার্ক ছাড়াই  একদফা আন্দোলনের ঘোষণা দিল দলটি। বিগত ৫ বছরে আন্দোলনের বীজও তারা রোপণে করতে পারেনি।  বিএনপি অনেক নেতা কর্মীরা ক্ষমতাসীন দলের প্রেমে মুগ্ধ। 

তাদের সাথে শরীক দল গুলোর মধ্যে দুচারটা দল ছাড়া, অন্য দলগুলোর ভোটের মাঠে অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। সংগঠন আছে, সংগঠনের কোন কার্যক্রম নেই। নির্বাচনী জোটে দল সংখ্যা বৃদ্ধিতে একমাত্র সহায়ক। তাঁদের কর্মীর চেয়ে নেতা বেশী! 

বিএনপির জনসম্পৃতা নেই কিংবা আন্দোলন করে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার রাজনৈতিক ক্ষমতা ক্ষীণ সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। আন্দোলনে মৌলিক চিন্তাভাবনার কতটুকু আছে? যেমন - প্রথমে নিজের দলের কর্মীদের ও জনগণের হার্টবিট বুঝতে হয়। যে কোন আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতাদের সময় জ্ঞান, প্রেক্ষাপট, ধরন, গতিবিধি, রূপরেখা নিয়ে বাস্তবমুখী ধারনা নিয়ে কর্মসূচি দিতে হয়। 

সঠিক আগাম পরিকল্পনার অভাবে ফুটো হয়ে যেতে পারে আন্দোলন নামক বেলুনটি।যে আন্দোলনে গণতান্ত্রিক অধিকারের রূপরেখা নেই।গণতন্ত্রকে ভর করে শুধু ক্ষমতা নামক সোনার হরিণ পেতে চায়। গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা যে আন্দোলনে উপেক্ষিত সেখানে গণসম্পৃক্তা কিংবা গণ আন্দোলনের কোন সম্ভাবনা নাই। ইতিহাস বলে, কোন নিদিষ্ট গোষ্ঠী বা দলের আন্দোলন যদি গণদাবীতে রূপ না নেয়, সফলতার চেয়ে ব্যর্থতাই বেশী আসে। যদি বিএনপি এই আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারেন, তাহলে ব্যাক টু প্যাভিলিয়ান।  তখন দলটির অস্তিত্ব ঠিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।অন্যদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে জনবিছিন্ন হয়ে পড়বে দলটি। 

বিএনপি আন্দোলনে যতই কঠিন থেকে কঠিনতম কর্মসূচি ঘোষণা করুক। রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা, পরিকল্পনার যথেষ্ট ঘাটতি আছে। 
তারজন্য রাজপথে উত্তাপ ছড়ানো কঠিন হবে। আন্দোলনের মন্তর গতিতে এক সময় বিএনপির নেতা কর্মীরা হতাশায় পথভ্রষ্ট হয়ে জানমালের ক্ষতি করবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের মানুষ দেশের প্রতিটি সম্পদকে নিজের সম্পদ মনে করেন। দেশের মানুষ বর্তমানে গড়তে চায়, ভাঙ্গার বিপক্ষে।জনগণ উন্নয়নের স্বপ্নে বিমোড়, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায় পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী ট্যানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বিশ্ব তাক লাগানো বাজেটের মতো করে। বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার পরও দেশের ঊর্ধ্বমুখী বাজেট এ কুনজর পড়েছে বিশ্ব মোড়লদের। এই কুনজর থেকে রক্ষা করতে দরকার কাজলের টিপ স্বরূপ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। 

বিদেশীরা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নাক গলানো ভিয়েনা কনভেনশন প্রণীত আইন বিরোধী! বিদেশীরা পক্ষে-বিপক্ষে অযাচিত,শিষ্টাচারবহির্ভূত মাতাব্বরি দেশের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতস্থানে লবন দেওয়ার সামিল। আমাদের দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা কেমন হবে, সেটা দেশের জনগণই নির্ধারণ  করবেন। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতাসীন হওয়ার জন্য রেষারেষি, অরাজনৈতিক কার্যক্রম, অন্য দলকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য হিংসাত্বক পরিকল্পনা এটা নতুন কিছু না।কালের সাক্ষী, রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থের ঘাটতি হলেই রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ায় দেশান্তরে। আমরা মেরুদন্ডহীন জাতির মত বিদেশীদের কাছে নালিশ করি। তখন তাঁরা মোড়লগীরি জাহিল করার সুযোগটা কাজে লাগায়। দেশের আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কোন দলেই পরীক্ষার বাইরে নাই। আমাদের দেশের প্রতিটি সরকার গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটাই শুধু গণতন্ত্রের কক্ষপথ থেকে বিচ্যুতি ঘটায়নি, বিচ্যুতি ঘটিয়েছে গণতন্ত্রের প্রতিটি বর্ণের। এদেশের গণতন্ত্র যুগ যুগ ধরে বিবর্ণ ও বিবস্ত্র হচ্ছে! গণতন্ত্র নিজস্বতা হারিয়েছে, হারিয়েছে তার বাক স্বাধীনতাকে। এর জন্য দায়ী দেশের রাজনেতিক দলগুলো।ক্ষমতাকালীন সময় কোন দলই নির্বাচন কমিশনকে গণতন্ত্রের স্বার্থে ব্যবহার করেননি। 

দেশের রাজনীতিকে আগে সুস্থ ধারায় গতি দিতে হবে। রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে সর্বাঙ্গে গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে।যে দেশের রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে গণতন্ত্র নাই, সে দেশে গণতন্ত্র নিউনেটাল বেবী।

দেশের রাজনৈতিক দল গুলোর পরিবার তন্রই গণতন্ত্রের অন্তরায়! 
                

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image