• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কেমিক্যালে পাকানো ফল খেয়ে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৪ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:১২ পিএম
বিভিন্ন ফল-ফলাদি পাকানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত
মধু মাস জৈষ্ঠ্য মাস নানাহ ফল-ফলাদি

মশিউর রহমান সেলিম, কুমিল্লা:  মধু মাস জৈষ্ঠ্য মাস নানাহ ফল-ফলাদি হাট বাজারে উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে কুমিল্লার দক্ষিনাঞ্চল লাকসাম,সদর দক্ষিন, লালমাই, বরুড়া, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও কার্বাইড ভরা রসের ফল-ফলাদি খেয়ে এলাকার মানুষ প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং নিত্য পন্যের মতো বিষাক্ত ফল-ফলাদিও দাম অনেক চড়া। তারা সরকারী নিয়ম-কানুন ও বিধি- বিধান না মেনে হরেক রকম ফল ব্যবসায়ীরা দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, জেলা দক্ষিনাঞ্চলের উপজেলাগুলোর প্রধান প্রধান হাটবাজারে কোন ফল-ফলাদির বাগান না থাকলেও রয়েছে বিশাল কৃষি অঞ্চল। এখানে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন কৃষিপন্য উৎপাদন করে চলেছে স্থানীয় কৃষকরা। ফলে গড়ে উঠেছে বড় বড় ফল-ফলাদি ও শাকসবজির আড়ৎ। সরবরাহ করা হচ্ছে দেশী-বিদেশী কৃষিপন্য ও ফল-ফলাদি। আবার কেউ কেউ বাহির থেকে বিভিন্ন পন্য আমদানী করার সময় হরেকরকম দেশী-বিদেশী বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে এবং নিজেদের গোপন আড়তে সংরক্ষিত এলাকায় ওইসকল বিষাক্ত দ্রব্য প্রয়োগে পাকানো ফল-ফলাদি ও শাকসবজি বাজারজাত করে চলেছে।

বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ফল-ফলাদি দেখতে সুন্দর হলেও খেতে কোন স্বাদ নেই। বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো বিষে ভরা রসালো ফল-ফলাদি খেয়ে এ অঞ্চলের শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধরা বিভিন্ন ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং এ অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। বিগত ১০ দিনে সরকারি- বেসরকারী হাসপাতালে ডায়রীয়া, আমাশয়, পেটের ব্যাথাসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের মনিটরিং টিমের দায়িত্ব ও ভূমিকা নিয়ে এলাকার জনমনে আজ
নানাহ প্রশ্ন দানাবেধে উঠেছে।

সুত্রগুলো আরও জানায়, এছাড়া ফল-ফলাদিতে পোকামাকড় ও রোগ বালাই দমনে ব্যবহৃত বিভিন্ন কীটনাশক মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হলেও ওইসব অসাধু ব্যবসায়ীরা লাভবান হওয়ার স্বার্থে বিষাক্ত দ্রব্যের ব্যবহার আরো বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ক্রেতারা ওইসব পন্য কিনে প্রতারিত, পুষ্টিমান যাচাইসহ স্থানীয় প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় নাগরিক ও সুশীল সমাজ। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনে তাপদাহ ও ভেপসা গরমে সবাই পরিবার-পরিজন নিয়ে সু-স্বাধু ফল-ফলাদি খেয়ে থাকেন এটাই স্বাভাবিক।

স্থাণীয় বে-সরকারি হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক জানায়, ফল-ফলাদিতে ব্যবহৃত ক্যালসিয়াম কার্বাইড এক ধরনের কেমিক্যাল। এটি পানির সঙ্গে বিক্রিয়া করে ইথিলিন গ্যাস আর চুন তৈরী করে। আবার ইথিলিন গ্যাসকে পলিমারে বিক্রিয়া করা হলে পলিথিন তৈরী করা যায়। এক কথায় এ দ্রব্যটি পলিথিন তৈরীর কাঁচামাল। ফরমালিন এক ধরনের প্রিজারভেটিভ। এটি ফরমাল ডিহাইডের সাথে পানি মিশ্রনে এলডিহাইড তৈরী হয়। এটাকে মিথানলের সংগে জারন করলে তৈরী হয় বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য। সেই মিথানলও একটি বিষাক্ত কেমিক্যাল। যা বাজারে ষ্পিরিট নামে কিংবা কাঠের বার্নিস হিসাবে পরিচিত। এসকল বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে রসালো বিভিন্ন ফল-ফলাদি পাকানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এ ব্যাপারে জেলা-উপজেলার স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার মুঠো ফোনে বার বার চেষ্টা করেও বিস্তারিত কোন তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image