• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

জলঢাকায় আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পগুলোতে পেয়েছে নান্দনিকতার ছোঁয়া 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:২৮ পিএম
নান্দনিকতার ছোঁয়া 
আশ্রায়ণ-২ প্রকল্প

মশিয়ার রহমান, জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফাামারীর জলঢাকায় ডাকুরডাঙ্গায় অবস্থিত আশ্রয়ণের ঘর পাওয়া রশিদুুল ইসলাম ঘর নং ৮, জোনাকু ঘর নং২৪, শেরিনা বেগম ঘর নংং ২৪ তাদের ঘরে ঢুকে দেখা গেল, প্রতিটিতে রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। কয়েকটি ঘর মিলিয়ে বসানো হয়েছে সুপেয় পানির গভীর নলকুপ।প্রতিটি ঘরের ভিতর রয়েছে রান্নাঘর ও শৌচাগার। এসব ঘরের চারদিকে সবজির বাগান সহ ফলফলাদির গাছ লাগিয়েছিলেন অনেকে। সবমিলিয়ে গোছানো ও পরিপাটি রুপ পেয়েছে জলঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো।এরইমধ্যে  ১২৩২টি ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে গৃহহীন দরিদ্র মানুষজনকে।

ডাকুরডাংঙ্গা বটতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের পঞ্চাশোর্ধ্ব তবিয়া বেগম এমন একটি ঘর পেয়ে উচ্ছ্বসিত। তিনি এ প্রতিবেদককে আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘আমাার স্বামী  আব্দুস ছালাম (ছলু)একজন প্রতিবন্ধী, আগত বাঁশের ঝুপড়ি বানেয়া থাকছিনু; মাইসের জমিত,এটাত খুব কষ্ট হইছিল। মেঘ (বর্ষায়)  সময় টিন কানা(ছিদ্র) হয়া পানি পইছিল (পরেছিল)।রইদোত(রৌদ্র),মেঘ,তুফান আর শীতত  ঘরত থাকা যায় নাই।কারেন্ট আছিলো না ঘরত।এ্যালা(এখন) প্রধানমন্ত্রী মোক (আমাকে) নতুন ঘর দিছে। ঘরের মালিক বানেয়া দিছে।  পাকা ঘরত রান্না করোছং, বাথরুম, কারেন্ট, পানি তাবদ(সব) আছে। মুই কোন সময় ভাবং( ভাবি)  নাই এত সুন্দর থাকির পাইম(পাব)।’রহিমার মত পৌরসভার ডাকুর ডাংঙ্গা,বটতলী, কৈমারী ইউনিয়নের টগরার ডাংঙ্গা,বালাগ্রামে চাওড়াডাংঙ্গী, ডাওয়াবাড়ী কুটিপাড়া আশ্রয়ণে অনেক  পরিবার পেয়েছে  মুজিব বর্ষের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর।

বিভিন্ন কষ্ট করে থাকা দরিদ্র এ-সব মানুষের জীবনে এ-সব ঘর দিয়েছে মাথা গোঁজার শান্তি। সেখানেই বসবাস করছেন এসব পরিবার। তারা প্রত্যেকেই  প্রধানমন্ত্রীর জন্য  দোয়া করছেন।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম জানান, চার পর্যায়ে  ১২৩২টি ঘরের অবকাাঠামো সমাপ্ত করে এরই মধ্যে উপকার ভোগীদের মাঝে কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। 

উপজেেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম জানায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে একটি পরিবার গৃৃহহীন থাকবে না।এটায় ছিল প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ,বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর  জন গোষ্টীকে মূল শ্রোতে  ফিরিয়ে আনায় হলো আসল উদ্দেশ্য ।তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি ও লক্ষ্য অর্জনে  সর্বাত্মক সহযোগীর ভুমিকা পালনে চেষ্টা  করেছি । সম্প্রতি উপজেলার  বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘুরে দেখা যায়,আশ্রয়ণ-২ এর প্রথম থেকে চতুর্থ পর্যায় পর্যন্ত হস্তান্তর করা ১২৩২টি ঘরে পরিবার নিয়ে উঠেছেন উপকারভোগীরা।রাস্তাঘাট,জায়গা নির্বাচন, ঘর নির্মাণ ও উপকারভোগী নির্বাচনে সর্বোচ্চ যাচাই-বাছাই করায় সবমিলিয়ে এখানকার আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো পেয়েছে, নান্দনিকতার ছোঁয়া!

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image