• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মিঠামইনে ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণে কৃষক দিশেহারা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৩৩ পিএম
মিঠামইনে কৃষক দিশেহারা
ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ

বিজয় কর রতন, মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জের মিঠামইন, ইটনা অষ্টগ্রামে উঠতি পাঁকা বোরো ফসলে নতুন করে ব্লাষ্ট রোগ ও পোকার আক্রমণে সর্বশান্ত কৃষক। মঙ্গলবার ১১ই এপ্রিল দিন ভর বিভিন্ন হাওরে সরজমিনে ঘুরে, ও কৃষকদের সাথে কথা বলে এসকল তথ্য ও পাওয়া গেছে, অধিকাংশ কৃষক এখন দিশেহারা পাগলের মত জমির পাশে বসে শেষ সম্বল হারিয়ে বিলাপ করছে।

বিগত দুই বছর অকাল বন্যায় মার্চের মাঝামাঝি সময়ে আধা পাঁকা ধান পানিতে তলিয়ে গিয়ে ৬০ ভাগ কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। শুধু মাএ ইটনার হাওরে ৭০ ভাগ ধান কৃষকের গোলায় উঠেনি।এবছর তারা চড়া সুদে টাকা এনে জমি চাষ করেছেন লাভের আশায়।কিন্তু উফসি ব্রি-আর ২৮ ও ব্রি- আর ২৯ ধানে ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণে জমির ধান জমিতেই পুড়ে ছাই।জমিতেই নষ্ট হচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। রোগের প্রভাবে ধান ছিটা হয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে চাষিরা।এদিকে ধান নষ্ট হওয়ায় লক্ষ্য মাএা পূরন নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে। ক্ষতি গ্রস্হ কৃষকদের রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেছে কৃষি বিভাগ।কৃষকরা বলছে এখন আর আপনাদের পরামর্শের প্রয়োজন নেই।যা শেষ হওয়ার হয়ে গেছে। কি পরিমাণ ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়েছে সে বিষয়ে কৃষি বিভাগ  কিছুই বলতে পারে নি।

কৃষকরা আরও জানান,হাই ব্রিড জাতের পাশাপাশি উফসি ২৮ জাতের বোরো ধানের আবাদ করেছেন। সেখানে ধানের শীষ আসার সঙ্গে সঙ্গে তা পুড়ে ছাই হয়ে ছিটা হয়ে গেছে। কয়েক হাজার কৃষক এ ক্ষতির মুখে পড়েছেন।মিঠামইন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাফিউল ইসলাম জানান, মিঠামইনে এবছর ১৫ হাজার ৯শত ১০ হেক্টর বোরো জমি আবাদ করা হয়েছে।এর মধ্যে ৩ শত ৯০ হেক্টর ব্রি-আর ২৮ আবাদ করা হয়েছে। বাকি ২৯ সহ ৮৮,৯৯,৯২ ধান করছেন কৃষকরা।তিনি জানান,অধিকাংশ জমি কোষের সময় কিছু কিছু ঔষধের প্রেসক্রিপসান দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কৃষকরা তা মানেনি।এসকল কারণে ব্লাষ্ট ছিটা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অষ্ট্রগ্রাম কৃষি কর্মকর্তা অভিজিৎ সরকার বলেন,উপসহকারীদের ক্ষতি গ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করার কথা বলা হয়েছে। কেউ যদি মাঠে না যায় তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্হা নেওয়া হবে।

জেলা কৃষি  সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: আবদুস ছাওার জানান,ব্রি আর ২৮ ও ব্রি আর ২৯ ধানের সমস্যা হয়েছে। তিনি ইটনা ও অষ্টগ্রামের হাওর পরিদর্শন করেছেন।এ মূহুর্তে পাঁকা ধানে ব্লাষ্টের আক্রমণ কিছু করার নেই। কাঁচা ধানে ঔষধ দিতে হবে। চমকপুর গ্রামের কৃষক জীবন মিয়া বলেন,জোয়াইরা বিলে জমি করেছেন দুই একর ২৮ও২৯ ক্ষেতের ধান ক্ষেতেই নষ্ট হইছ।নিজে খাইমু কি মহাজনরে দিমু কি?গরু বাচুর ও ৮ জন মানুষ। অহন মাইনষের খলায় কামলা দিয়া রোজার মাস চলতাছি।ঈদের পরে ঢাহা চইলা যামু।রোজার দিন ঘরে খাওন নাই।কথা গুলি বললেন চমকপুর হাওরের নদার বন্দের কৃষক মোশারফ।

৫ কানি ক্ষেত করছিলাম।২৮ দুই কানিও ২৯-৩ কানি। এ ক্ষেত কাডার মত কোনো বাও নাই। মহাজনরা বাড়ি আইসা টাকার তাগিদ দিচ্ছে। চমকপুর গ্রামের সিদ্দিক মিয়া ও উপজেলা যুবলীগের নেতা তিনি জানান,জোয়াইরা বিলে ৬ একর জমি করছিলাম। কিন্তু পোঁকার আক্রমণে ধানে ছিটা হইয়া সব শেষ। মিঠামইনের চেঙ্গা বিলের হাওরের কৃষক চুবুর মিয়া বলেন,৩ একর জমি ২৯ করছিলাম।কাঁচি যাইতে না ক্ষেতে কেমনে চলমু চিন্তা করতাছি।একই হাওরের ছওর মিয়া,লতিফ মিয়া,দুলাল মিয়া,হেলাল মিয়া,বাবু মিয়া, আক্কাছ মিয়া এ প্রতিনিধে একই কথা বললেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image