• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীতে জাহাজ নিয়ে উৎসব


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৪০ এএম
কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীতে
জাহাজ নিয়ে উৎসব

কক্সবাজার প্রতিনিধি : বাঁশ, বেত, কাঠ, কাগজ দিয়ে অপূর্ব কারুকাজে তৈরি হয়েছে জাহাজ। বৌদ্ধ ধর্মীয় ভাষায় যাকে বলা হয় কল্প জাহাজ। কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীতে ময়ূর, নাগরাজ, জাদি, পঙ্খীরাজ ও ড্রাগন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রাণীর প্রতিকৃতিতে ফুটিয়ে তোলা এসব জাহাজ। 

রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রামুর বাঁকখালী নদীতে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সব ধর্মের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় এ জাহাজ ভাসা উৎসবে।কক্সবাজারের রামুর বাঁকখালী নদী; নদীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ময়ূর, নাগরাজ, জাদি, পঙ্খীরাজ ও ড্রাগন। তবে এসব প্রাণী নয়; সবই হচ্ছে বাঁশ, বেত, কাঠ, কাগজ দিয়ে অপূর্ব কারুকাজে তৈরি জাহাজ। বৌদ্ধ ধর্মীয় ভাষায় যাকে বলা হয় কল্প জাহাজ।

নানা বাদ্য বাজিয়ে নেচে, গেয়ে সবাই মেতে ওঠে উল্লাসে। আর এ উচ্ছ্বাসের মধ্যেই রামুর বাকঁখালী নদীতে ভাসানো হয় আটটি জাহাজ। উৎসবকে ঘিরে নদীর দুই পাড়ে ভিড় জমায় হাজারো মানুষ। বৌদ্ধ ধর্মের ঐতিহ্যবাহী উৎসব হলেও সব ধর্মের মানুষের উপস্থিতি ছিল এই জাহাজ ভাসা উৎসবে।কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, গৌতম বুদ্ধের সময় ভারতবর্ষে বৈশালী ছিল এক সমৃদ্ধ নগরী। 

একসময় ওই রাজ্যে ত্রিবিধ উপদ্রব দেখা দিল। দুর্ভিক্ষ, মহামারি ও অমনুষ্যের উপদ্রব। হৃদয়ছোঁয়া স্মৃতিকে অমলিন করে ধরে রাখার জন্য রামুতে সর্বপ্রথম রাখাইন বা মগদের দ্বারা কাগুজি কল্পজাহাজ ভাসা উৎসবের সৃষ্টি হয়।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, প্রায় ২৫০ বছর আগে তৎকালীন ধনাঢ্য রাখাইন বৌদ্ধরা প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রাচীন রামুর বাঁকখালী নদীতে কল্পজাহাজ ভাসানো প্রচলন শুরু করেন। জাহাজভাসা উৎসবের প্রচলন হয় পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে মুরহন ঘা নামক স্থানে একটি নদীতে মংরাজ ম্রাজংব্রান প্রথম এ উৎসব উদযাপন করা হয়। শতবছর ধরে প্রবারণা পূর্ণিমায় রাখাইন ও বড়ুয়া সম্প্রদায় বাঁকখালী নদীতে কল্পজাহাজ ভাসা উৎসব আয়োজন করে আসছে। রামুর এ জাহাজ ভাসা উৎসব বৌদ্ধদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হলেও, কালক্রমে সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে সম্প্রীতির মহামিলন উৎসবে উদযাপিত হয়।

বিকেলে জাহাজ ভাসা উৎসবের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাপ্তি চাকমা, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা, রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান প্রমুখ।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image