আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইনসের ২৬টি ফ্লাইট বাতিল ঘোষণার পর পাল্টা এ সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন সরকার। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা নতুন কিছু নয়। নানা সময় নানা কারণে বেড়েছে দুদেশের মধ্যকার তিক্ততা। সম্প্রতি কংগ্রেস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের জেরে তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া চালায় চীন। আর এ মহড়ার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে দেশটি। এবার দুদেশের মধ্যে ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক পড়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কথা বলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইট বাতিল করেছিল চীন। জবাবে চীনগামী ২৬টি ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সিদ্ধান্তে চীনের চারটি এয়ারলাইনসের ২৬টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। বিমানগুলো ৫ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চলাচলের কথা ছিল। যেসব ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ১৯টি লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে এবং ৭টি নিউইয়র্ক থেকে ছাড়ার কথা ছিল।
এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি এবং চীনের চারটি এয়ারলাইনসের ২০টি ফ্লাইট দুদেশের মধ্যে যাতায়াত করত। তবে করোনা মহামারির আগে এ ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল একশটি।
করোনা শুরুর পর থেকে ফ্লাইট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে বিভিন্ন সময়ে বিরোধে জড়াতে দেখা গেছে। এর আগে ২০২১ সালে মার্কিন পরিবহন মন্ত্রণালয় চার সপ্তাহের জন্য চীনের এয়ারলাইনসগুলোর চারটি ফ্লাইটের যাত্রী বহনের সক্ষমতা সীমিত করেছিল।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: