নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল বিভাগ অফিসার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) অফিসার্স ক্লাব ঢাকায় এই আলোচনা ও দোয়া মাহ্ফিল পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও জাতির পিতার সম্মানে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ণমবাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪-দল সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড এ জাতির জন্য সবচেয়ে কলঙ্কের দিন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে এ জাতিকে সাম্প্রদায়িক করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য যে, বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশকে সাম্প্রদায়িকতা থেকে রক্ষা করেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, এ জাতির সবচেয়ে কালো অধ্যায় ১৫ আগস্ট। এই কালো অধ্যায়ের আজ অবসান হয়েছে জাতির জনকের কন্যার হাত ধরে। তবে এ জাতি কোনদিন জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডকে ভুলে যাবে না।
বিশেষ অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক এবং অদ্বিতীয়।বাংলাদেশ যতোদিন থাকবে বঙ্গবন্ধুর কীর্তি ততোদিন থাকবে। জাতি তাঁকে স্মরণ করবে মহান স্থপতি হিসেবেই।
বঙ্গবন্ধু : বাংলাদেশ শীর্ষক মূল প্রবন্ধে জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু গবেষক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বাংলাদেশ একটি জাতি রাষ্ট্র লাভ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে। তিনি জন্ম না নিলে এখনও বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বাঙালির ২০০০বছরের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র বাঙালি যিনি বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা দূরকণ্ঠে বলেন।
এসময় বরিশাল বিভাগ অফিসার্স এসোসিয়েশনের জেষ্ঠ্য/প্রধান উপদেষ্টা সিরাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ জাতিকে যদি এগিয়ে যেতে হয় তাহলে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মতিউর রহমান বলেন, এই দিন জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত দিন। এদিন ঘাতকেরা নারী, শিশু কাউকেই ছাড় দেয়নি। ঘাতকদের শাস্তি দেয়া এ জাতির জন্য কলঙ্গ মুক্তির একটি উপায়। কিছু ঘাতকের শাস্তি হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন একদিন এ জাতি অবশিষ্ট সকল ঘাতক এবং এর পেছনে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, সকলেরই একদিন শাস্তি হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া ১৫ আগস্টে শাহাদত্বরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদগণের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। একই সাথে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি বৰ্গকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিচারপতি ড. সৈয়দ জিয়াউল করিম, মু. আ. হামিদ জমাদ্দার (সচিব, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়), মু. মাহবুব হোসেন (সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন), নাজমা মোবারেক (সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়), জাহাঙ্গীর আলম (সচিব, নির্বাচন কমিশন), অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিবর্গ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস
আপনার মতামত লিখুন: