
জহিরুল ইসলাম সানি:
উত্তরা অফিসার্স ক্লাবের ৮ম বার্ষিক সাধারন সভা ও প্রথম বারের মত নির্বাচন (২০২৩ - ২০২৪) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনটি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
শনিবার (০৪ মার্চ) উত্তরা অফিসার্স ক্লাবেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন দুপুর ২টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে। এই নির্বাচনে দুটি প্যানেলে সাতটি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩৭৭ জন। এছাড়াও স্বতন্ত্র হিসেবে একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
একটি প্যানেলে প্রার্থী হিসেবে, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি পদে এম আব্দুল লতিফ মন্ডল, সহ-সভাপতি পদে ডা. মঈন উদ্দীন আহমদ ও জি. ফকরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পদে শাহনওয়াজ দিলরুবা খান, যুগ্ম সম্পাদক পদে মোঃ মহসীন ও ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইউনুস আলী ও কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ মিজানুর রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।
আরেকটি প্যানেলে প্রার্থীরা হিসেবে, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি পদে ড. নমিতা হালদার (এনডিসি), সহ-সভাপতি পদে জি ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও প্রফেসর ডা. সাব্বির আহমেদ খান, সাধারণ সম্পাদক পদে হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক পদে ইঞ্জিনিয়ার মো: ইউনুস আলী ও মোঃ ইকবাল কবির ও কোষাধ্যক্ষ পদে কৃষিবিদ ড.এম.এন. মোল্লা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।
নির্বাচন চলাকালীন সময় প্রার্থীরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চিরভাস্বর রাখতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নুতন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা জাতীয় দিবসগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনসহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সারা বছরই পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী কোভিডের কারণে গত প্রায় ৩ বছর ক্লাবের কর্মকান্ড কিছুটা স্থবির হয়ে পড়ে। অতিমারির কারণে ক্লাবের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক বাধার সম্মুখীন হই। তথাপি আমাদের সাংগঠনিক কর্মকান্ড যতটা সম্ভব চালিয়ে গিয়েছি। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় ক্লাবের কর্মকান্ড আবার জোরেসোরে শুরু হয়েছে।
তারা আরও বলেন, আমরা আশা করি এই নির্বাচনে ভোটাররা সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। তাছাড়া নির্বাচনে যে জয়ী হোক না কেন তাদের নিয়ে এই সংগঠনের উন্নয়নের কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রার্থীরা।
এ সময় ভোটাররা বলেন, খুবই সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে উত্তরা অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা প্রত্যেক প্রার্থী, আমাদের খুব আপন জন। তাছাড়া নির্বাচনে যেই জয়ী হবে, সে সবাইকে নিয়ে আমাদের এই উত্তরা অফিসার্স ক্লাবের উন্নয়নে কাজ করবে। সদস্যদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা বলে জানান একাধিক ভোটার।
ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, সকাল থেকে ভোটারের উপস্থিতি ভালো। উৎসাহ উদ্দীপনের মধ্যে দিয়ে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। যেহেতু এটি সামাজিক সংগঠন তাই এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার কোনো কারণ নেই।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: