নিউজ ডেস্ক: জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান বলেছেন, হাওর রক্ষা বাঁধে কোনো প্রকার অনিয়ম সহ্য করা হবেনা। তদন্তে প্রমাণ হলে বিধি মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শনিবার জগন্নাথপুর উপজেলার বৃহৎ নলুয়ার হাওরের ভূরাখালী এলাকায় ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরাঞ্চলের কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন চালিয়ে যাচ্ছেন। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যায় হাওরের ফসল রক্ষা বাধ ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি কৃষকদের ধৈর্য্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানান এবং সরকারি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর তত্ত্বাবধানে স্থানীয় পিআইসির মাধ্যমে নির্মিত ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনুকূলে থাকলে হাওরের ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হবে। এ সময় কৃষকরা মন্ত্রীকে জানান, হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িধের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। এদের কবল থেকে হাওর রক্ষা করতে হবে।
কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আগামীতে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ স্থায়ীভাবে নির্মাণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি সহ্য করা হবেনা। যারাই হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নিয়ে বাণিজ্য করার চেষ্টা করবেন তাদের এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। কৃষকরা তাদের কষ্টার্জিত ফসল ঘরে তুলতে এবং হাওরের বেড়িবাধগুলো নজরদারিতে পাউবো এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
হাওরের বেড়িবাঁধ পরিদর্শনকালে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেদুল ইসলাম, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদৌহা, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইসরানুল ইসলাম ও সমশের আলী, আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম মশাহিদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল এবং কৃষকসহ রাজনৈতিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: