
নিউজ ডেস্ক: কয়েক দিন আগে এই আফগানিস্তানকেই একমাত্র টেস্টে নাস্তানাবুদ করেছে বাংলাদেশ। লিটন দাসের নেতৃত্বে একমাত্র টেস্টটিতে বাংলাদেশ জিতেছিল রেকর্ড গড়ে। সেই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই আবার ওয়ানডের লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ। তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায়। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।
প্রতিপক্ষ হিসেবে নামটা আফগানিস্তানই। তবে টেস্টের সেই আফগানিস্তান দল আর ওয়ানডে লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে যাওয়া আফগানিস্তান দল এক নয়। বরং টেস্টের আফগান দলের সঙ্গে ওয়ানডের আফগান দলের মধ্যে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। টেস্টের আফগান দল ছিল তারুণ্যনির্ভর অনভিজ্ঞ এক দল। বিপরীতে ওয়ানডেতে আফগানিস্তান মাঠে নামছে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে। দলটির সবচেয়ে বড় তারকা রশিদ খান ও স্পিনার মুজিব-উর রহমান ওয়ানডে দলে ফিরেছেন। টেস্ট থেকে অবসর নেওয়া অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবিও আছেন ওয়ানডে দলে।
এই তিন জনের সমন্বয়ে আফগানদের স্পিন আক্রমণটা যে যথেষ্টই শক্তিশালী, সেটা পুরো ক্রিকেট দুনিয়া জানে। পেস বোলিং আক্রমণে ফিরেছেন দুই অভিজ্ঞ ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ব্যাটিং অর্ডারে যোগ দিচ্ছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান রহমতউল্লাহ গুরবাজ ও নাজিবুল্লাহ জারদান। রহমতউল্লাহ গুরবাজ তো বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডেতে করেছিলেন সেঞ্চুরি। ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ১১০ বলে অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস খেলে আফগানিস্তানকে জিতিয়েছিলেন ৭ উইকেটে।
গত বছরের ঐ সিরিজে বল হাতে ফজলহক ফারুকিও বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য ভয়ংকর রূপে ধরা দিয়েছিলেন। আর রশিদ খান কী করতে পারেন, সেটা তো সবাই জানে। সুতরাং তামিম ইকবালরা মুখোমুখি হচ্ছেন পূর্ণ শক্তির আফগানিস্তানের। তবে শুধু আফগানিস্তান দলেই নয়, বাংলাদেশ দলেও ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চোট শঙ্কার কারণে একমাত্র টেস্টে না খেলা সাকিবের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশ দলের জন্য বড় প্রাপ্তি, ব্যাটিং-বোলিংয়ে বাড়তি নির্ভরতা।
ওয়ানডেতে দুই দলের আগের ১১ সাক্ষাতে বাংলাদেশই এগিয়ে। বাংলাদেশ জিতেছে ৭ বার, আফগানরা জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ৪ বার। তবে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২২টি ম্যাচ খেলেছে দুই দল। তাতে জয়-পরাজয় সমানে সমান। বাংলাদেশ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ১১ বার। আফগানিস্তানও জিতেছে ১১ বার। ফলে প্রথম ম্যাচে যারাই জিতবে, পরিসংখ্যানের পাতায় এগিয়ে যাবে তারাই। এগিয়ে যেতে পারবে সিরিজেও।
তামিম খেললেও বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণটা কেমন হবে, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। তামিম তিন ধরনের পেস বোলিং আক্রমণের আভাস দিয়েছেন। টেস্টে দারুণ বোলিং করা তাসকিন ও এবাদত তো আছেনই, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দারুণ বোলিং করা হাসান মাহমুদও পুরোপুরি প্রস্তুত। আছেন মোস্তাফিজ, শরিফুলও। পাঁচ পেসারের মধ্যে কে কে একাদশে সুযোগ পাবেন, একাদশে তিন পেসার থাকবে নাকি দুই পেসার, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে একাদশ যেভাবেই গড়ুক, লক্ষ্য থাকতে একটাই—ম্যাচ জিতে সিরিজ এবং পরিসংখ্যানে এগিয়ে যাওয়া।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: