নিউজ ডেস্ক: পদ্মা সেতুর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ পেতে যাচ্ছে বহুমাত্রিক যোগাযোগের সুবিধা। নৌপথনির্ভর যাতায়াতে যুক্ত হচ্ছে নতুন মাত্রা। পিছিয়ে থাকা জনপদে নতুন আলোর রশ্মি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এর প্রভাবে দীর্ঘদিন সুবিধাবঞ্চিত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থসামাজিক কাঠামোতে আসবে দিনবদলের ছোঁয়া।
দক্ষিণবঙ্গ মানেই যেন নৌপথ। বিশেষ করে বৃহত্তর বরিশালে যাতায়াতে যেন নৌপথের ওপরই ভরসা রাখতে হয়। লঞ্চ তো আছেই, এ অঞ্চলে সড়কে চলতে হলেও ফেরির বিকল্প ছিল না এতদিন।
নৌনির্ভর এ পথে এবার দিনবদলের স্মারক এখন পদ্মার বুকে ঠায় দাঁড়িয়ে। অপেক্ষা ২৬ জুনের। দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা বলেন, আমরা অপেক্ষায় আছি কাঙ্ক্ষিত দিনটির। যেখানে বাড়ি যেতে দুপুর ৩টা বাজত। এখন ১২টার মধ্যেই পৌঁছে যাব।
বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেল দীর্ঘদিনের অবহেলিত এ জনপদ। শুধু কি সেতু ঢাকা থেকে মাওয়া আর জাজিরা থেকে ভাঙ্গা দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে এ পথে সড়কেও এনেছে ভিন্ন মাত্রা।
এক সেতুতেই দুই পাড় যুক্ত করতে সমানতালে চলছে রেলের কাজও। এ পথে রেললাইন যুক্ত হলে দেশের প্রথমবারের মতো বহুমাত্রিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হাদিউজ্জামান, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘ সময় ভোগান্তিতে ছিল। এ প্রথম দক্ষিণাঞ্চলের ২০ জেলার মানুষ পেতে যাচ্ছে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন এত দিন ধরে পিছিয়ে থাকা এ জনপদে পৌঁছাবে নতুন আলোর রশ্মি। এখানে অর্থনীতির চাকায় যেমন গতি আসবে, তেমনি বদলে যাবে আর্থসামাজিক অবস্থাও।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: