
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক এ হুমকি দিয়েছেন।
নোভাক বলেন, ২০২৩ সালের শুরু দিকে তেলের উৎপাদন পাঁচ থেকে সাত শতাংশ কমানো হতে পারে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে। ইউক্রেনের ওপর হামলার জেরে পাশ্চিমারা রুশ তেলের ওপর মূল্যসীমা নির্ধারণ করে। মূল্যসীমা নির্ধারণের পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপের খবর সামনে এলো।
আলেকজান্ডার নোভাক জানায়, দৈনিক তেলের উৎপাদন পাঁচ থেকে সাত লাখ ব্যারেল কমানো হতে পারে।
তিনি আরো বলেন,রাশিয়ার তেলের ওপর ইউরোপের নির্ভরশীলতা কমানো সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার তেলের চাহিদা বেড়েছে। তাছাড়া ক্রেতাদের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনছে মস্কো। রাশিয়ার জ্বালানি ছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাছাড়া ইউরোপে গ্যাস সংকটেরও পূর্বাভাস দিয়েছেন নোভাক। ৫ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জি-৭ ও অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার বেধে দেয়। এছাড়াও রাশিয়ার তেলের ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এদিকে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
জো বাইডেন জেলেনস্কিকে জানান,রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যতদিন প্রয়োজন ততদিন ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে। এ সময় জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আপনি একা নন। ইউক্রেনকে আরো দুই বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। অঙ্গীকার করেছেন আরো ৪৫ বিলিয়ন ডলারের। পূর্ণ সমর্থন দেওয়ায় জেলেনস্কি ওয়াশিংটনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এমআর
আপনার মতামত লিখুন: