জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : গতকাল ভোরে এলাকার বিভিন্ন মোড়ে ও চায়ের দোকানের সামনে শীত নিবারণের চেষ্টায় আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ম আয়ের মানুষকে। পৌর শহরের রিকশাচালক মাসুম বলেন, আজ প্রচণ্ড শীত লাগছে। ঠাণ্ডার জন্য রিকশা চালানো যাচ্ছে না। হাত ও পায়ের পাতা মনে হচ্ছে বরফ হয়ে যাচ্ছে। পেটের দায়ে বাড়ি থেকে বের হলেও প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাচ্ছে না। বেসরকারি চাকরিজীবী শারমীন জানান, সকাল ৮টার মধ্যে অফিসের উদ্দেশে বের হতে হয়।
১৩ জানুয়ারি প্রচণ্ড শীতের কারণে রিকশা না নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। যাতে শরীরটা একটু গরম থাকে কিন্তু হিমেল হাওয়ায় জবুথবু অবস্থা। অবশ্য তীব্র শীতেও শীত নিবাননের জন্য গড়ম কাপর কিনতে ভীর দেখা যায় দোকান গুলোতে। এদিকে হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগী দেখা যাচ্ছে। গত তিন দিনে জলঢাকা
হাসপাতালে শিশুসহ প্রায় ২০০ রোগী ঠাণ্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নেয় বলে জানান হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তবে কুয়াশা ও শীত বাড়ার সঙ্গে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়বে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, সোমবার থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। থাকবে ২-৩ দিন। তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
ডিমলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে শৈত্যপ্রবাহ, ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: