নিউজ ডেস্ক: ভারতের মুম্বাইস্থ বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে বাংলা নববর্ষ এবং বর্ষবরণ ১৪২৯ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়। বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে ১লা বৈশাখ ১৪২৯ (বাংলা) এবং ১৪ এপ্রিল ২০২২ (খ্রিঃ)-এ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে এক মিলন মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
মুম্বাইয়ে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ, ভারতীয় বাঙালি, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রধান ও প্রতিনিধিগণ, থিংক ট্যাংক ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, ভারতীয় নৌবাহিনী প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে মুম্বাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার চিরঞ্জীব সরকার আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। স্বাগত বক্তব্যে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনকে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের একীভূত হওয়ার এক সার্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবে অভিহিত করেন। বাংলা বর্ষবরণকে বাঙালি সংস্কৃতির এক আবহমান কৃষ্টি হিসেবেও তিনি উল্লেখ করেন।
নৃত্তাঞ্জলি-নামক স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংঘ কর্তৃক এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। আয়োজনে শিল্পীরা বৈশাখীর গানে গানে এবং নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে বাঙালির সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে প্রচলিত পিঠা, বিভিন্ন ধরনের নিরামিষ ভর্তা ও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়। আগত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এ আয়োজনের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত হতে পেরে এবং এ মনোজ্ঞ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ উপহাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: